Thursday 26 June 2014

আমি মারা যেতে চা আ আ আ আ.....ই!!!!!!!

আপাতত খুব খারাপ অবস্থা। ঠিক এরকম দেখতে লাগছে আমায় বিশ্বাস করুন।

একটু আগে পেইন্ট খুলে বেগুনি রং দিয়ে মোটা করে লিখছিলাম "আমি মারা যেতে চা আ আ আ আ.....ই, আমি আর কোনো কাজ করব নাআআআআ! আমি বাড়ি যাব ও ও ও ও ও ও ! আমায় বাড়ি যেতে দাও ও ও ও ও ও......," কেউ আমায় বেঁধে রাখেনি ঠিকই কিন্তু ওই আর কি বোঝেনই তো সব। সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে শুরু করেছি Nobel winning experiment সব। এখন রাত সাড়ে এগারোটা, এখনো চলছে এবং চলবে রাত আড়াইটা পর্যন্ত। না না পাগলা কুকুরে কামড়ায়নি আমাকে যে আমি সাধ করে রাত আড়াইটা পর্যন্ত ল্যাবের মোষ তাড়াব। আমি অত ভালো নই। তার চেয়ে ঘরে বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে দানাদার খেতে খেতে সিনেমা দেখা ভালো। আছি ঠ্যালায় পড়েই। কি আর করব। আমরা দুই স্যাঙ্গাত আছি, গোটা চারেক জুনিয়র বাচ্চা ছেলেময়ে আছে। এগারোটার সময় ক্যান্টিনের লোকেদের ঘুম থেকে তুলে ভরপেট খেয়ে এসেছি। বিভিন্ন রকম হাহা হিহি চলছে কাজের ফাঁকে ফাঁকে। আমার একটুও হাসি পাচ্ছে না বিশ্বাস করুন। বোতলের মত মুখ করে কম্পিউটার এর সামনে বসে আছি। এখন পঁয়তাল্লিশ মিনিটের জন্য মোষ নিজে নিজেই চরবে, আমার তদারকির দরকার নেই, পঁয়তাল্লিশ মিনিট পর মোষের ঘাড় ধরে আবার সোজা রাস্তায় তাড়াতে হবে তাই এখন একটু ছুটি পেয়েছি। পিঠ আর পা টা মনে হচ্ছে অন্যলোকের। মা হলে বলত "খুলে রেখে দে, যন্ত্রণা কমে গেলে আবার পরে নিবি।" কি আর বলব? যাক গে যাক, ভরপেট খেয়ে AC র হাওয়ায় বেজায় ঘুম পাচ্ছে। ঢুলতে ঢুলতে কোন রিঅ্যাকশনে কি add করব কি জানি? রাত বাড়লেই ল্যাবের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন রকমের আওয়াজ আসতে থাকে। কেউ সিনেমা দেখছে, কেউ গান শুনছে, কেউ ফোন ফিসফিস করে প্রেম করছে, কেউ নিজেদের মধ্যে হ্যা হ্যা করছে, আমি আপনাদের বোর করছি ইত্যাদি। আপাতত একটা কথা মনে হচ্ছে, শেষ রাতে তো খিদে পেয়ে যাবে, কি খাব? ক্যান্টিনে যাওয়া যাবে না, ক্যান্টিনের লোকেরা আমায় মারবে আবার ঘুম থেকে তুলে খেতে চাইলে। কি যে করি? এইসব ঝড়-জল, ভূমিকম্প, ঝঞ্ঝাবাত, জলোচ্ছাসের মধ্যে আপনাদের সঙ্গে একটু গপ্প করে নিলাম আর কি। আপাতত টাটা। কাল যদি বেঁচে থাকি কথা হবে।        

0 comments:

Post a Comment