আমাদের বাড়িতে মানে যেখানে আমি এই মুহুর্তে আছি সেটি নয়, আমি অরিজিনালি যেখানকার ফসল, আমার সেই বাড়িতে বর্তমানে দুটি বেড়াল আছে। 'টুই' এবং 'মোটু'। বেড়াল যে আমি প্রচন্ড পছন্দ করি তা নয়। বস্তুত ওরাই আমাকে বিশেষ পছন্দ করে না। তাও টুইকে আমি কেন চটের ব্যাগে করে কলকাতা থেকে ট্যাক্সি এবং ট্রেনে চাপিয়ে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে আমার বাড়িতে মা-বাবার ঘাড়ে এনে ফেলেছিলাম তার একটা বিশেষ কারণ ছিল। সে গল্প নাহয় আর একদিন হবে। আপাতত সেই টুইবেড়াল যথা নিয়মে বছরখানেক বয়স হতে না হতেই পাড়ার preexisting বদমাইশ হুলোটার সাথে প্রেম ট্রেম করে তিনটি ইঁদুরছানা সাইজের বাচ্চার আমদানি করলো। তার একটাকে বেশিদিন পৃথিবীর জ্বালা-যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়নি। বাকি দুটো, 'মোটু' আর 'ফিরু'। আমার মা কুকুর-বেড়াল নিয়ে আমার বা বাবার মত আদিখ্যেতা না করলেও দুরছাইও করে না কখনো। এবং আমি জানি মনে মনে তাদের বেশ ভালোও বেসে ফেলে। মা তাদের ভালোবেসে দুটি ভালো নাম দিয়েছিল 'মেনি' আর 'টেনি'। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই দেখা গেল তাদের স্বভাবের জন্য তারা নিজেরাই নিজেদের নাম ঠিক করে নিয়েছে, শান্তশিষ্ট মোটাসোটাটা হয়ে গেল 'মোটু'। আর ছটফটে রোগাটা হয়ে গেল 'ফিরফিরে' বা 'ফিরু'। এই দ্বিতীয়জন কে নিয়েই আজকের গল্প। ফিরু ছোটোবেলা থেকেই একটু কলম্বাস গোছের। মোটু যখন সোফায় বসে একটু ধ্যান-ট্যান করছে আর আড়চোখে রান্নাঘরের দিকে নজর রেখেছে, ফিরু হয়ত তখন পাঁচিলে উঠে চারিদিক ঘুরে বেরিয়ে পাশের বাড়িতে কিভাবে যাওয়া যেতে পারে সেই প্ল্যান করছে। ওই বয়সেই অন্য বেড়াল বন্ধু জুটিয়ে এন্তার পাড়া বেড়াচ্ছে। মোটকথা দুজনেই দুজনের মতো করে "দিব্বি ছিলেন খোশমেজাজে চেয়ারখানি চেপে।"
একদিন হটাত সাত সকালে মায়ের আকুল ফোন - "মুন্নি, কাল সন্ধ্যে থেকে না ফিরুকে পাওয়া যাছে না", বললাম "দেখো কোথাও পাড়া বেড়াতে গেছে, খাবার সময় ঠিক ফিরে আসবে"। খুব একটা আশ্বস্ত হলো বলে মনে হলো না। পরদিন আবার খবর, "পাশের বাড়ির কালো হিটলার গোঁফওয়ালা সাদাকালো মুন্নু বেড়ালটাকেও পাওয়া যাছে না"। বললাম 'বল কি! elopement? আচ্ছা, দুএকদিন অপেক্ষা করে দেখো।' কারোরই পাত্তা নাই। 'কি আর করা যাবে বলো সবাইতো সংসারে থাকার জন্য আসে না, দেখো গিয়ে সন্ন্যাসী-টন্ন্যাসী হয়ে দেশ ভ্রমনে বেরিয়েছে কিনা'.......বাড়ি থেকে ফোন করলেই এইসব বলে সান্ত্বনা দিতে থাকি আমি। বাবা বলল মোটু নাকি তার বোনকে খুব মিস করছে, সব জায়গা খুঁজছে....... ইত্যাদি। এ পর্যন্ত চেনা গল্প। ঘটনাটা এর পরে। হঠাত একদিন পাশের বাড়ির মুন্নু বেড়ালটা ফিরে এল। তখন সবার মনে আশা যে ফিরু ও ফিরবে। আমি ফোনে বললাম 'ওই তো ওদের তীর্থভ্রমণ শেষ হয়েছে এবার ফিরে আসবে দেখো'। ফিরু কিন্তু ফিরল না। মোটামুটি নিরুদ্দেশবার্তা সারা পাড়াতেই ছড়িয়ে গেছিল। যদিও কোনো পুরস্কার ঘোষণা করেনি আমার বাবা তার হারানো বেড়ালের জন্য। তাও দিন সাতেক পর মিসিং পার্সন স্কোয়ার্ড থেকে জানা গেল, মানে পাড়ার একজন খবর দিলেন যে, পাড়ার মোড়ে যিনি মাছ নিয়ে বসেন তাঁর আশেপাশে নাকি একটি নতুন বেড়াল দেখা যাছে কদিন হলো, সেটাকে নাকি অবিকল ফিরুর মত দেখতে। সামনে গিয়ে ধরতে গেলেই পালায়। কি করে তিনি এত নিশ্চিত হলেন জানি না, কারণ আমার মা-বাবাই মাঝে মধ্যে মোটু আর ফিরুর কোনটা কে গুলিয়ে ফেলত বলে ফিরুর কপালে আলতা দিয়ে একটা লাল তিলক দিয়ে রাখত। যে যাই হোক, বাবা উত্ফুল্ল হয়ে ফোন করে বলল "মুন্নি, কাল অপারেশন ফিরু", বললাম "ওটা ফিরু ই তো"? বাবা বলল "হ্যাঁ রে, ওটা ফিরু ই। "
"তবে পালায় কেন?"
"মেন রাস্তায় অনেক লোকজন, গাড়িঘোড়া তো, ভয় পায় হয়ত।" বাবা আমায় আশ্বস্ত করে।
বললাম, "দেখো, সাবধানে ধোরো, আঁচড়ে কামড়ে না দেয়।" বলে মনে মনে একটু দুঃখও পেলাম। এই ধরনের মিশনে অংশগ্রহণ করতে আমি খুব ভালবাসি। ভাবলাম ইশ বাড়িতে থাকলে বেশ একটা থ্রিলিং ব্যাপার হত। যাক, সন্ধ্যেবেলা বেশ গুছিয়ে বসে খবর নেওয়া যাবে।
সন্ধ্যেবেলায় ফোন করতে শুনি মিশন আনসাকশেসফুল। কি বাপ্যার? বাবা বলল "আরে, কিছুতেই ধরতে পারলাম না রে, হাতে আঁচড়ে দিয়ে পালালো। অনেক চেষ্টা করলাম, এদিক ওদিক দিয়ে খালি দৌড়ে পালায়, কাল আর একবার চেষ্টা করব।" যদিও হাসি পাওয়াটা উচিত নয় তাও দৃশ্যটা ভেবেই হাসি পেয়ে গেল, ভাবুন একবার, সাতসকালে পাড়ার মোড়ে পাড়ার একজন সত্তর-বাহাত্তর বছর বয়সী প্রবীন শ্রদ্ধেয় মানুষ একটা বেড়ালের পেছনে তাড়া করে তাকে ধরার চেষ্টা করছেন। আর বেড়ালটা তাঁর সাথে লুকোচুরি খেলছে। যাই হোক হাসি-টাসি চেপে বললাম "তোমাকে দেখেও পালালো? সত্যিই ফিরু তো?নাকি অন্য বেড়াল?"
"না রে, ফিরু ই, কপালের লাল তিলকটা যদিও ছিল না, অনেকদিন হয়ে গেছে তো তাই উঠে গেছে হয়ত। কাল ধরে বাড়ি নিয়ে এলে, টুই-মোটু কে দেখলে ঠিক চিনতে পারবে"-বাবা কনফিডেন্ট। ভালো, কাল খোঁজ নেব কি হলো।
পরদিন সুসংবাদ ! 'অপারেশন ফিরু' successful! বেড়ালটাকে বেঁধে রাখা হয়েছে ঘরে, কিন্তু টুই বা মোটু কেউই তাকে accept করছে না, সেও সবার দিকে প্রবল বিক্রমে ফ্যাঁশ-ফ্যাঁশ করছে। কিছু খাচ্ছেওনা। বললাম "সেকি গো? সত্যিই ফিরু তো?"
বাবা বলল "হ্যাঁ রে বাবা, দাঁড়া না দুদিন যাক।" ভাবলাম, হবে হয়ত, বিদ্রোহ করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল তো তাই দুপক্ষেরই মান-অভিমান চলছে বুঝি। আস্তে-ধীরে ঠিক হবে। বললাম, "তা ধরলে কি করে ওকে? পালালো না?"
"আরে একা কি পারি? অমুক দোকান থেকে অমুক, তমুক দোকান থেকে তমুক সবাই এসে হেল্প করলো, তবে তো ধরলাম।"
বুঝলাম, সাতসকালে আমার বাবা, আশেপাশের সব দোকান এর বিকিকিনি বন্ধ রাখিয়ে দোকানদারদের 'অপারেশন ফিরু' তে লাগিয়ে দিয়েছিলেন। মানে তাঁরা আগের দিনের নাটকটা দেখে মজা পেয়ে নিজেরাই লেগে পড়েছিল আর কি। যাক সব ভালো যার শেষ ভালো। ফিরু ফিরে এসেছে এই ঢের।
কিন্তু না, নাটকের ক্ল্যাইম্যাক্স হচ্ছে আরও দুদিন পরে, বিকেলে বাবা বলল, "বেড়ালটাকে ছেড়েই দিলাম বুঝলি, ঠিক করে খাওয়া দাওয়া করছিল না, বেঁধে রাখতে হচ্ছিল, এরকম করে তো রাখা যায় না, ওটা মনে হয় ফিরু নয়"- বলে আমাকে ফিরুর সাথে এই বেড়ালটার চেহারায় সুক্ষ্ম কিসব পার্থক্য আছে সেসব বোঝাতে লাগলো। অর্থাত এটি ভুল বেড়াল। শুনে হাসব না কাঁদব ভাবতে লাগলাম।
দুদিন ধরে গলদঘর্ম হয়ে পাড়ার দোকানদাররা পর্যন্ত ব্যতিব্যস্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত একটা ভুল বেড়াল? উপরুন্তু তার আঁচড়- কামড়ের জন্য বাবাকে কিসব ওষুধ-ইনজেকশনও নিতে হলো। তাই বলছিলাম আর কি, ম্যাঁও ধরা বড় সহজ কথা নয়।
একদিন হটাত সাত সকালে মায়ের আকুল ফোন - "মুন্নি, কাল সন্ধ্যে থেকে না ফিরুকে পাওয়া যাছে না", বললাম "দেখো কোথাও পাড়া বেড়াতে গেছে, খাবার সময় ঠিক ফিরে আসবে"। খুব একটা আশ্বস্ত হলো বলে মনে হলো না। পরদিন আবার খবর, "পাশের বাড়ির কালো হিটলার গোঁফওয়ালা সাদাকালো মুন্নু বেড়ালটাকেও পাওয়া যাছে না"। বললাম 'বল কি! elopement? আচ্ছা, দুএকদিন অপেক্ষা করে দেখো।' কারোরই পাত্তা নাই। 'কি আর করা যাবে বলো সবাইতো সংসারে থাকার জন্য আসে না, দেখো গিয়ে সন্ন্যাসী-টন্ন্যাসী হয়ে দেশ ভ্রমনে বেরিয়েছে কিনা'.......বাড়ি থেকে ফোন করলেই এইসব বলে সান্ত্বনা দিতে থাকি আমি। বাবা বলল মোটু নাকি তার বোনকে খুব মিস করছে, সব জায়গা খুঁজছে....... ইত্যাদি। এ পর্যন্ত চেনা গল্প। ঘটনাটা এর পরে। হঠাত একদিন পাশের বাড়ির মুন্নু বেড়ালটা ফিরে এল। তখন সবার মনে আশা যে ফিরু ও ফিরবে। আমি ফোনে বললাম 'ওই তো ওদের তীর্থভ্রমণ শেষ হয়েছে এবার ফিরে আসবে দেখো'। ফিরু কিন্তু ফিরল না। মোটামুটি নিরুদ্দেশবার্তা সারা পাড়াতেই ছড়িয়ে গেছিল। যদিও কোনো পুরস্কার ঘোষণা করেনি আমার বাবা তার হারানো বেড়ালের জন্য। তাও দিন সাতেক পর মিসিং পার্সন স্কোয়ার্ড থেকে জানা গেল, মানে পাড়ার একজন খবর দিলেন যে, পাড়ার মোড়ে যিনি মাছ নিয়ে বসেন তাঁর আশেপাশে নাকি একটি নতুন বেড়াল দেখা যাছে কদিন হলো, সেটাকে নাকি অবিকল ফিরুর মত দেখতে। সামনে গিয়ে ধরতে গেলেই পালায়। কি করে তিনি এত নিশ্চিত হলেন জানি না, কারণ আমার মা-বাবাই মাঝে মধ্যে মোটু আর ফিরুর কোনটা কে গুলিয়ে ফেলত বলে ফিরুর কপালে আলতা দিয়ে একটা লাল তিলক দিয়ে রাখত। যে যাই হোক, বাবা উত্ফুল্ল হয়ে ফোন করে বলল "মুন্নি, কাল অপারেশন ফিরু", বললাম "ওটা ফিরু ই তো"? বাবা বলল "হ্যাঁ রে, ওটা ফিরু ই। "
"তবে পালায় কেন?"
"মেন রাস্তায় অনেক লোকজন, গাড়িঘোড়া তো, ভয় পায় হয়ত।" বাবা আমায় আশ্বস্ত করে।
বললাম, "দেখো, সাবধানে ধোরো, আঁচড়ে কামড়ে না দেয়।" বলে মনে মনে একটু দুঃখও পেলাম। এই ধরনের মিশনে অংশগ্রহণ করতে আমি খুব ভালবাসি। ভাবলাম ইশ বাড়িতে থাকলে বেশ একটা থ্রিলিং ব্যাপার হত। যাক, সন্ধ্যেবেলা বেশ গুছিয়ে বসে খবর নেওয়া যাবে।
সন্ধ্যেবেলায় ফোন করতে শুনি মিশন আনসাকশেসফুল। কি বাপ্যার? বাবা বলল "আরে, কিছুতেই ধরতে পারলাম না রে, হাতে আঁচড়ে দিয়ে পালালো। অনেক চেষ্টা করলাম, এদিক ওদিক দিয়ে খালি দৌড়ে পালায়, কাল আর একবার চেষ্টা করব।" যদিও হাসি পাওয়াটা উচিত নয় তাও দৃশ্যটা ভেবেই হাসি পেয়ে গেল, ভাবুন একবার, সাতসকালে পাড়ার মোড়ে পাড়ার একজন সত্তর-বাহাত্তর বছর বয়সী প্রবীন শ্রদ্ধেয় মানুষ একটা বেড়ালের পেছনে তাড়া করে তাকে ধরার চেষ্টা করছেন। আর বেড়ালটা তাঁর সাথে লুকোচুরি খেলছে। যাই হোক হাসি-টাসি চেপে বললাম "তোমাকে দেখেও পালালো? সত্যিই ফিরু তো?নাকি অন্য বেড়াল?"
"না রে, ফিরু ই, কপালের লাল তিলকটা যদিও ছিল না, অনেকদিন হয়ে গেছে তো তাই উঠে গেছে হয়ত। কাল ধরে বাড়ি নিয়ে এলে, টুই-মোটু কে দেখলে ঠিক চিনতে পারবে"-বাবা কনফিডেন্ট। ভালো, কাল খোঁজ নেব কি হলো।
পরদিন সুসংবাদ ! 'অপারেশন ফিরু' successful! বেড়ালটাকে বেঁধে রাখা হয়েছে ঘরে, কিন্তু টুই বা মোটু কেউই তাকে accept করছে না, সেও সবার দিকে প্রবল বিক্রমে ফ্যাঁশ-ফ্যাঁশ করছে। কিছু খাচ্ছেওনা। বললাম "সেকি গো? সত্যিই ফিরু তো?"
বাবা বলল "হ্যাঁ রে বাবা, দাঁড়া না দুদিন যাক।" ভাবলাম, হবে হয়ত, বিদ্রোহ করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল তো তাই দুপক্ষেরই মান-অভিমান চলছে বুঝি। আস্তে-ধীরে ঠিক হবে। বললাম, "তা ধরলে কি করে ওকে? পালালো না?"
"আরে একা কি পারি? অমুক দোকান থেকে অমুক, তমুক দোকান থেকে তমুক সবাই এসে হেল্প করলো, তবে তো ধরলাম।"
বুঝলাম, সাতসকালে আমার বাবা, আশেপাশের সব দোকান এর বিকিকিনি বন্ধ রাখিয়ে দোকানদারদের 'অপারেশন ফিরু' তে লাগিয়ে দিয়েছিলেন। মানে তাঁরা আগের দিনের নাটকটা দেখে মজা পেয়ে নিজেরাই লেগে পড়েছিল আর কি। যাক সব ভালো যার শেষ ভালো। ফিরু ফিরে এসেছে এই ঢের।
কিন্তু না, নাটকের ক্ল্যাইম্যাক্স হচ্ছে আরও দুদিন পরে, বিকেলে বাবা বলল, "বেড়ালটাকে ছেড়েই দিলাম বুঝলি, ঠিক করে খাওয়া দাওয়া করছিল না, বেঁধে রাখতে হচ্ছিল, এরকম করে তো রাখা যায় না, ওটা মনে হয় ফিরু নয়"- বলে আমাকে ফিরুর সাথে এই বেড়ালটার চেহারায় সুক্ষ্ম কিসব পার্থক্য আছে সেসব বোঝাতে লাগলো। অর্থাত এটি ভুল বেড়াল। শুনে হাসব না কাঁদব ভাবতে লাগলাম।
দুদিন ধরে গলদঘর্ম হয়ে পাড়ার দোকানদাররা পর্যন্ত ব্যতিব্যস্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত একটা ভুল বেড়াল? উপরুন্তু তার আঁচড়- কামড়ের জন্য বাবাকে কিসব ওষুধ-ইনজেকশনও নিতে হলো। তাই বলছিলাম আর কি, ম্যাঁও ধরা বড় সহজ কথা নয়।
0 comments:
Post a Comment