প্রতিদিনের জীবন মানে এমন অনেক কিছুরই সম্মুখীন হতে হবে যা আমার পছন্দ নয়। কিছু ঘটনায় দুঃখ পাবো, কিছু ঘটনায় ভীষণ রাগ হবে, কিছু ঘটনায় কিছু না করতে পারার হতাশা থাকবে। এতো স্বাভাবিক। কিন্তু তার মধ্যে এমন কিছু ঘটনাও তো থাকবে যা আনন্দের, যা সাহস জোগাবে, যা উদাহরণস্বরূপ সকলকে জানাতে ইচ্ছে করবে, যা ভীষণ নেগেটিভিটির মধ্যেও বুকভরে শ্বাস নেবার কারণ হবে। থাকবে তো? নাকি একটা সময়কালে যা যা ঘটছে সব-...
Wednesday, 13 May 2020
Tuesday, 12 May 2020
ইচ্ছে করে
আমার খুব ইচ্ছে করে খুব ভোরের বাসে করে বাড়ী ফিরব। বাসের জানলা দিয়ে দেখতে পাব ইলোরা এপার্টমেন্টের লম্বা বাড়ীটারছাদে সকালের রোদ এসে জুটেছে। তার কিছুটা বাসের জানলা দিয়ে ঢুকে এসে ছুঁয়ে যাচ্ছে আমার বাঁদিকের গাল। আর ভোরেরহাওয়ায় উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে চুল। মুখে ভোরের ঠাণ্ডা হাওয়া এসে লাগলে কেমন একটা স্নান করার অনুভুতি আসে। সেইটি নিয়েফাঁকা বাসে চেপে বাড়ি ফিরবার ইচ্ছে করে একবার।
আমার খুব ইচ্ছে করে কাঁসাই নদীর ধারে গিয়ে বসি আর একবার। একটু দূরে ডানদিকে থাকুক একটা ঝুপসি গাছ। কি গাছ তারনাম নয় নাই জানলাম। পুরনো দিনের গন্ধ থাকুক তাতে। লাল মাটির কাঁকুড়ে জমিতে গুছিয়ে বসে গল্প করি অনেক। বাঁদিকদিয়ে ওই দূরে থাকুক নয় একখানা একাবোকা ট্রেন লাইন। গ্ল্যামারহীন, গ্রাম্য গোছের। খানিকটা ঠিক আমারই মতন। কুটুর কুটুরকত গল্পই না জমে থাকে অমন দিনে। গল্প করতে করতে সন্ধ্যে নামলে আবার কাঁকুড়ে পথে নয় ফিরে চলব । লাল মাটির পথেলাল সাইকেলের চাকায় কুড়কুড় করে শব্দ হবে তৃপ্তির। আমার খুব ইচ্ছে করে বন্ধু এসে এমন দিনে ছুঁয়ে দেবে ডানহাত দিয়ে।ভরসা দেবে বন্ধু থাকার।
আমার ভীষণ ইচ্ছে করে খুব ভোরে ঘুম ভেঙ্গেছে নিজের ঘরে, মায়ের পাশে। শীতের কুয়াশায় ডুবে আছে বাঁড়ুজ্জে পুকুর। এমনকুয়াশা যে ঘোষাল গাছের মাথাটাও আবছা হয়ে আছে নিচে থেকে দেখলে । প্রাক দীপাবলির সাতসকালে এমন দিনে চুবড়ি হাতেচোদ্দশাকের সন্ধানে বেরোই আর একবার। পাড়াসুদ্ধু বন্ধু বান্ধব সব জুটিয়ে নিয়ে।
মাঠের ধারে কচি ধানের শিষের ভেতর দুধ জমে। জানতামই না, হিরুদিদি না দেখালে। আমার খুব ইচ্ছে করে আর একবারবিকেল বেলায় ক্ষেতের কোণায় গিয়ে দাঁড়াই দুজন মিলে। কত নতুন কিছু শিখব তবে। তারপরেতে বিকেল বেলায় খুব খানিকপিট্টু খেলব। নইলে নাহয় বউবসন্ত। আমি কিন্তু তোমার দলে। খুব খেলব সন্ধ্যে নামার পর পর্যন্ত। তারপর নয় সন্ধ্যে হলেলোডশেডিং হোক। যেমন হত প্রাত্যহিকই। হ্যারিকেনের আলোয় মায়ের কাছে ভূগোল বই খুলে বসব তখন। আবহবিকার আরভূপ্রকৃতি পড়ব তখন বেশটি করে। ঠাকুরদোরে ফুরফুরিয়ে হাওয়া দেবে আর চ্যাপ্টা মতন ম্যাপবইটা খুলে বসে দেশ দেখব দুজনমিলে। আমার খুব ইচ্ছে করে।
আমার খুব ইচ্ছে করে সাতসকালে পুঁচকে খাঁদুর দাঁত মাজিয়ে, মুখ ধুইয়ে, বাঁ হাত দিয়ে গালটা ধরে চুল আঁচড়ে, দুধ বিস্কুট খাইয়েদিয়ে, হাত ধরে বা কোলে করে শিবতলার দুগগাঠাকুর দেখিয়ে আনি। আর একবার। ইচ্ছে করে।
আমার খুব ইচ্ছে করে গরমের ছুটিতে সোমদত্তা- সংহিতার চিঠি পেতে। নীল রঙ্গের ইনল্যান্ড লেটার। আর একবার। গোটাঅক্ষরে লেখা থাকবে,...
Monday, 11 May 2020
সই
-বলি অ দিদি ? কলমি শাক লিবে নাকি?
-কে? বোষ্টুমী দিদি নাকি গো?
-হ্যাঁ আর কে? বলি কলমি লিবে? টাটকা, এই তুলে লিয়ে আসছি।
-কি কলমি? জলকলমি না ডাঙ্গার?
-না না জল কলমি। ড্যাঙ্গা কি জেগে আছে নাকি? সব তো জল ছপছপ করতিছে আখুনো।
-সে কি গো? এখনো জল?
-আর কেন বলো! আখুনো জল লাবেনি। বাখুলেও জল থৈ থৈ করতিছে দিদি। পা-হাত-পা হেজে গেল এই দেখোনা। দুবেলা দশবার...
Friday, 8 May 2020
অন্য শহর

লাস ভেগাসের রাস্তায় ব্রহ্মা মন্দির।
প্রায় দুশো লোকের সাথে সিগন্যাল পেলে একসাথে রাস্তা পার হবার জন্য একটা ব্যস্ত রাস্তার ধারে জেব্রা ক্রসিং এ দাঁড়িয়ে ছিলাম। পায়ে হাঁটার সিগন্যাল হতেই একসাথে পা বাড়ালাম রাস্তায়। এত লোকের সাথে পা ফেলে রাস্তা পার হতে গিয়ে দুটি অনুভূতি মন ছুঁয়েই বেরিয়ে গেল। আমার মত...
Subscribe to:
Posts (Atom)