আপাতত আজ বাড়ি যাচ্ছি। এক সপ্তাহের জন্য। গত তিন চার দিন ধরে প্রচন্ড কাজকর্ম করছি। মানে চক্ষুলজ্জা বলেও তো একটা ব্যাপার থাকে নাকি বলুন? এই যে সাত-সাতটা দিন আমি ল্যাবে বসে প্রচন্ড ভালো ভালো আবিস্কারের চেষ্টা মানে ল্যাপটপে মুখ ডুবিয়ে নানান হাবিজাবি সাইটে ঘোরাঘুরি করে টাইমপাস করব না। তার একটা ব্যাকআপ তো থাকা উচিত নাকি? নইলে লোকে কি বলবে? তার পর কাল রাতে যথারীতি লাস্ট মোমেন্টে ব্যাগ গোছাতে গিয়ে যা তা কান্ড। পঁচিশবার জিনষপত্র ঢোকাচ্ছি-বার করছি-এই ব্যাগ নয় ওই ব্যাগ এই সব করতে গিয়ে ইচ্ছেখাতা তো রাগ করে খাটের তলায় লুকিয়েছে। কি আর করা যাবে? বাড়ি গিয়ে নাহয় ভালো করে ওর রাগ ভাঙানো যাবে।
আমি তবে এটা ভেবেই উল্লসিত যে আবার ট্রেন জার্নি মানে আবার নানান ইন্টারেষ্টিং লোকজন মানে আবাব্র আমার নতুন রামবাবু আর শ্যামবাবুর সন্ধান পাবার চান্স। সন্ধান পেলে মুখিয়ে থাকব আপনাদেরকে গল্প করার জন্য। কথা দিচ্ছি। আর বাড়ি গিয়ে ভালো মন্দ খাবার দাবার যা খাব সে সবেরই গল্প বলে আপনাদের হিংসের উদ্রেক করাব সেটাও কথা দিচ্ছি। আর একটা খবর যে কাল থেকে আমাদের বাড়ির পাশে মেলা বসছে। না না আমি যাচ্ছি সেই আনন্দে নয়। এমনিই বাত্সরিক গ্রামীন মেলা। মেলায় এন্তার আবোলতাবোল খাব, পুঁচকে পানা নানান হাবিজাবি জিনিস কিনব।আপনাদের শুধু ছবি দেখাতে পারি। শেয়ার পেতে গেলে আসতে হবে আমাদের বাড়ি।
আপাতত ল্যাবের আরো কিছু চমকপ্রদ আবিষ্কারের কাজ বাকি আছে। সামনের এক দুই ঘন্টার মধ্যে শেষ করতে হবে। ব্যাস, তাহলেই ছুটি। একসপ্তাহের জন্য দোকান গুটিয়ে টাটা। এখান থেকে সোজা নিউ দিল্লি স্টেশন, সেখান থেকে রাজধানীর রঙ্গমঞ্চে করে বাড়ি। গিয়েই ইলিশ মাছ অপেক্ষা করছে। খবর পেয়ে গেছি। অতএব, আপাতত টাটা। কয়েকদিনের মধ্যেই আবার আসব আপনাদের সাথে বক বক করতে। ততদিন বন্ধু ভালো থেকো। টা টা।
0 comments:
Post a Comment