Thursday, 21 November 2019

#এই_সপ্তাহের_শেষে-7

#এই_সপ্তাহের_শেষে
৭. ক্যান্সার কোষ (Cancer cell)
----------------------------------
এই যে চার-পাঁচ সপ্তাহ ধরে ক্যান্সারের ওষুধ আবিষ্কারের গল্প নিয়ে এত কথা বললাম, জ্ঞান দিয়ে দিয়ে আপনাদের মাথা ধরিয়ে দিলাম, গুচ্ছের বকমবাজী করলাম, কিন্তু ক্যান্সার ব্যাপারটা যে কি, সেটিই কিন্তু বেমালুম এড়িয়ে গেছি। তাই না? তাই আজ ভাবলুম আজ নয় খানিক এই নিয়েই গপ্প করা যাক। কি বলেন?

এমনিতে তো সকলেই জানেন বোধহয় ক্যান্সার হলো গিয়ে অনিয়ন্ত্রিত কোষ বৃদ্ধি। কিন্তু এখানে অনেক প্রশ্ন আছে।  যেমন, এই নিয়ন্ত্রণহীন বৃদ্ধি ব্যাপারটা ঠিক কি? একেকটা কোষ সাইজে বেড়ে যায়? আর বেড়েই চলে? নাকি তারা সংখ্যায় বাড়ে? সংখ্যায় বাড়া ব্যাপারটা তো শুনে বেশ ভালোই মনে হয় তাই না? বেশ ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে নতুন কোষ গিয়ে জায়গাটার ক্ষতিপূরণ করবে। কিন্তু আদতে তো ভাল কিছু হয়না। তাহলে ক্যান্সারের এই অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি কেনই বা হয়? কেনই বা সে অনিয়ন্ত্রিত? সকলের কেনই বা হয় না? অনেকেরই প্রশ্ন থাকে- "এই তো অমুক হলো গিয়ে চেইন স্মোকার (বা জলের বদলে পারলে এলকোহল খেয়েই থাকে) কিন্তু তার কই ক্যান্সার হলো না, অথচ তমুক কিনা জীবনে বিড়ি-সিগারেট-এলকোহল ছুঁলো না পর্যন্ত অথচ ক্যান্সারে কি কষ্টটাই না পেল!" এমনটা কেন? 

একদম নির্জলা সত্যি উত্তরটা শুনবেন? 
উত্তরটা হলো- "এর কোনো নির্দিষ্ট ফর্মুলা নেই।" 

আদতে কেউই এখনো পর্যন্ত শেষ কথাটা বলে উঠতে পারেননি। কিন্তু বেশ কিছু ঘটনা বা কোষের বেঁচে থাকার সাধারণ পদ্ধতি সম্পর্কে জড়ো করা বহু বছরের জ্ঞানভান্ডার (Knowledge base) থেকে বেশ কিছু কথা বলা যেতেই পারে। সেগুলো নিঃসন্দেহে ক্যান্সার কোষের ধর্ম এবং এগুলোকে কাজে লাগিয়েই সুঁচ হয়ে ঢুকে শেষ পর্যন্ত সারা শরীরে গুন্ডামি করে বেড়ায় ব্যাটারা। সম্পূর্ণ গল্পটা বা বলা ভাল রহস্যটা উদ্ঘাটন হতে এখনো অনেক বাকি। তবুও যেটুকু জানা আছে বলি। 

মনে করুন, আপনি একটি বেশ বড় পরিবারের সদস্য। বড় বলতে বড়লোক নয়, সংখ্যায় বেশ তিরিশ জন মতন লোক আপনার পরিবারে আর সকলে একসাথে মিলে মিশে একবাড়িতেই থাকেন। যেমন অনেক আগের যুগে হতো আর কি। আপনার বাড়িতে নির্দিষ্ট শ্রমবন্টন ব্যবস্থা আছে, অর্থবণ্টন ব্যবস্থা আছে, সমস্ত কিছুর নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। সে নিয়মকানুন মিলে আপনার এতবড় বাড়ি-পরিবারকে একদম সুন্দরভাবে চালিয়ে নিয়ে যায়। নিয়ম না থাকলে এতগুলি লোক, তাদের প্রত্যেকের জীবন যাপনের আলাদা আলাদা ঝক্কি, বেঁচে থাকার আলাদা আলাদা চাহিদা, কাজ করার আলাদা আলাদা পারদর্শিতা এবং পদ্ধতি, এত সব কিছু পূরণ করে পুরো পরিবারটাকে নিরবিচ্ছন্নভাবে চালিয়ে নিয়ে যাওয়াটা একটা দুস্কর ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় তাই না? 

এখন এক আধদিন যদি কারো কোনো কারণে নির্দিষ্ট কাজ করতে ইচ্ছে না করে বা উপায় না থাকে তখন তার হয়ে অন্য কেউ তার কাজটি করে দিল। কারণ সব শেষে প্রত্যেকেরই উদ্দেশ্য পরিবারটিকে সুন্দর এবং সাবলীলভাবে সচল রাখা (যেমন অনেক যুগ আগে হতো আর কি)। এই বার মনে করুন, আপনার এই পরিবারেরই একজন সদস্য হঠাৎ কোনো কারণে বিগড়ে গেল। মানে, ধরুন তার দায়িত্বে রান্নার জন্য মশলা বাটার কাজ ছিল। সে কোনো কারণে একদিন সেকাজ করতে পারলো না। এবং সে দেখলো কাজ তো বন্ধ থাকবে না, সুতরাং তার হযে অন্য কেউ সেইদিন মশলা বাটার কাজটি করে দিল এবং তাই দিয়ে দিব্য রান্না মিটে গেল। এবং সে পায়ের ওপর পা তুলে বসে না খেটেও দিব্য উদরপূর্তি করে নিলে। এখন এই সদস্যটি ভাবলে, বেশ মজা তো। এরকম চালিয়ে যেতে পারলে দিব্বি লোকের ঘাড়ে নিজের কাজ চাপিয়ে নিজের খিদে মেটানো যায়। এবার সে এই ভাবনাটিকে সুচারুরূপে বারংবার কার্যকরী করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে লাগলো। এখন রান্নাঘরের দায়িত্বে আর যাঁরা আছে তাঁরা তো আর বোকা নন। তাঁরা কয়েকদিনেই এই চালাকি ধরে ফেললেন। এবং এই বদবুদ্ধির লোকটিকে প্রথমে নরম গরমে বুঝিয়ে, তারপর আচ্ছাসে ধমকে-ধামককে, খাবার বন্ধ করে, দরকারে চড়-চাপড় দিয়ে সিধে করার চেষ্টা চালিয়ে গেলেন। কারণ পরিবারের নিয়মের চাকা সচল রাখলে তবেই যে প্রত্যেকে ঠিক থাকতে পারবেন তা সকলেই জানেন। এখন এই বিগড়ে যাওয়া লোকটি দুটি কাজ করতে পারেন। এক, এইসব ধমক-ধামক, চড়-চাপড় এর ফলে সিধে রাস্তায় ফিরে আসতে পারে। আর দুই, অত্যন্ত কৌশলে এইসব ধমক-ধামক, চড়-চাপড় এড়িয়ে নিজের কাজ চালিয়ে যেতে পারে। কারণ সে দেখেছে এতে খাটতে হয়না কিন্তু দিব্বি বেঁচে থাকা যায়। প্রাথমিক ভাবে সে কিছুদিন এই ধমক-ধামক, চড়-চাপড় খেয়ে এমন ভাবকরে যেন সে সিধে হয়ে গেছে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে সে দল পাকাতে শুরু করে। প্রথমে রান্নাঘরের আর বাদবাকি লোকজনের কান ভাঙ্গায়, লোভ দেখায় তাতে কিছু লোক তার দলে আসে। তারপর বাইরের বদের হাঁড়ি বন্ধুবান্ধবদেরও ডেকে নেয়। তারাও এতে উৎসাহ দেয়, হাত লাগিয়ে সাহায্য করে। তারপর তারা একযোগে পুরো রান্নাঘরটা দখলের চেষ্টা করে যাতে যা খাবার আছে তা শুধু তারাই খেতে পারে। কারণ, বদবুদ্ধি বাড়ার সাথে সাথে তাদের চাহিদাও উত্তরোত্তর বেড়ে চলে। যেমন হয় আরকি! 

এইবার রান্নাঘরের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন লোকজন এতদিনে তাদের অত্যাচারে মরে-হেজে গেছে বা পালিয়ে বেঁচেছে। কিন্তু রান্নাঘরের আসল কাজটিতেও তো এতদিনে ভাঁটা পড়েছে তাই না? এতদিন তো রান্নাবান্না শিকেয় তুলে বা নাম- কে-ওয়াস্তে কিছু-মিছু রান্না করে সারা পরিবারের পেট চালাচ্ছিল রান্নাঘরের ভাল সদস্যরা। বাকি সময়টা তো এই ঝামেলা মেটাতেই চলে যাচ্ছিল। কিন্তু এইবার এই গুন্ডাদের চক্করে পড়ে সারা বাড়িতেই খাবারে টান। এইবার রান্নাঘরের বাইরে বাকি সদস্যদের টনক নড়েছে। তারা প্রথমে একযোগে সমস্ত দিকে কাজ করতে ব্যস্ত লোকজনকে খবর পাঠিয়ে রান্না ঘরে ডেকে এনে এদের তাড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ততদিনে ধরে ঘরে-বাইরের সমস্ত শত্রু মিলে বেশ শক্তিশালী দুষ্কৃতীদল তৈরী হয়ে গেছে। এখন কেবল হাতে আর মাথায় যুদ্ধ নয় তারা বেশ অস্ত্রশস্ত্রও বাগিয়ে বসেছে। এবং রান্নাঘরের বাইরের সমস্ত নিরীহ ভালমানুষ সদস্যদের মিলিত যুদ্ধকৌশলেও যদি তাদের আটকাতে পারা না যায়, তবে আবার দুটি ঘটনা ঘটে। এক, রান্নাঘরের বাইরের এই সমস্ত নিরীহ ভালমানুষ সদস্যদের যুদ্ধে হারিয়ে তাদের জায়গা এই বদ লোকগুলি দখল করতে পারে। অথবা দুই, এই ভালোমানুষ লোকগুলির মধ্যে থেকেই আস্তে আস্তে কেউ কেউ ভাবে পারে এই বদের দলে ভীড়ে না গেলে তো এরা বাঁচতে দেবে না। সুতরাং তারাও নিজেদের বাঁচাতে আস্তে আস্তে ভালোমানুষ থেকে বদ হয়ে যেতে থাকে। এখন তার ফলে পুরো বাড়ির সমস্ত রকম কাজই আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যায় বা ভীষণ রকম একটা অরাজকতা শুরু হয়। এবং শেষে বাড়িটার দৈন্যদশা এবং ক্রমে ভগ্নস্তূপে পরিণত হওয়া। এই হলো গল্প। 

কিসের গল্প? কেন? ক্যান্সারের। আচ্ছা বুঝিয়ে বলছি। এই পরিবার বা সম্পূর্ণ বাড়িটা মনে করুন আপনার শরীর। রান্নাঘরটা মনে করুন আনার একটা অত্যাবশক অঙ্গ (Organ)। এই প্যানক্রিয়াস, লিভার, কিডনি ইত্যাদি ইত্যাদি। রান্নাঘরে বিভিন্ন কাজের ডিপার্টমেন্ট, মানে ধরা এই মশলা বাটার কাজের পুরো টিমটা হলো গিয়ে একেকটা টিস্যু (Tissue) বা কলা। আর এই মশলা বাটার দায়িত্বে থাকা সবকটা লোকজন হলো একেকটা কোষ (cell) এখন এই বিগড়ে যাওয়া লোকটি হলো গিয়ে একটি ক্যান্সার কোষ। প্রথমে যে বাকিদের মানে আশেপাশের ভাল কোষদের ধমকধামক মানে আপনার দেহের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কোনো ভাবে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছিল। তারপর তার কান ভাঙ্গানিতে, মানে এই ক্যান্সার কোষ থেকে নির্গত নানান রকম জৈবরাসায়নিক পদার্থের প্রভাবে আশেপাশের ভাল কোষগুলিও ক্যান্সার কোষে পরিণত হওয়া। তারপর যা হয়, আপনার বাড়িতে গন্ডগোলের খবর পেলেই বাইরের বদ লোকেরা এসে ফায়দা তোলে। মানে বাইরের ক্যান্সার তৈরিতে উৎসাহ দেয় এমন বস্তুর (কার্সিনোজেন, Carcinogen) সাথে যদি আপনার ওঠাবসা থাকে সে তো জানতে পারবেই আপনার বাড়ির ভেতরে গন্ডগোল চলছে। এরকম বাইরের কার্সিনোজেন (এলকোহল, সিগারেট, বিড়ি, বিশেষ কোনো রাসায়নিক ইত্যাদি) বা আপনার দেহের ভেতরে থাকা কিছু মুখোশ পরা রাসায়নিক (তাদের মধ্যে মুখ্য হলো-চিনি এবং চর্বি) তখন হৈ-হৈ করে মাঠে নেমে পড়ে আপনার রান্না ঘরের ওই বিগড়ে যাওয়া ক্যান্সারকোষটিকে উৎসাহ দিয়ে দলভারী করতে। এবার কোষটিও হৈ-হৈ করে সংখ্যায় বাড়তে থাকে। এই নতুন কোষগুলির না থাকে কোনো কোয়ালিটি কন্ট্রোল, সুতরাং না থাকে তাদের কাজের মাথা মুন্ডু। ভাল কোষগুলিও এদের সাথে লড়তে গিয়ে হয় মারা পড়ে নয় নিজেদের বাঁচাতে ক্যান্সার কোষে পরিণত হয়। তারপর আপনার রান্নাঘর বাঁচাতে আপনার বাড়ির বাকি সদস্যরা তাদের বিভিন্ন রকম কার্যক্ষমতাকে প্রয়োগ করে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। অর্থাৎ আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা (immune system), কোষের সাধারণ সেনাদল (Antioxidant defense system), উৎসেচকের দল (hormonal system), ঝাড়ুদার বাহিনী (Autophagy cells) ইত্যাদি সকলকে একযোগে যুদ্ধে নামতে হয়। কিন্তু যদি দস্যুদল এদের সকলের মিলিত শক্তির চেয়েও ততদিনে শক্তিশালী হয়ে যায়, তখন তারা আর রান্নাঘরে আবদ্ধ থাকে না। ছড়িয়ে পড়ে সারা দেহে। আর আস্তে আস্তে আপনার দেহের সমস্ত কিছুর মধ্যে একটা অরাজকতা সৃষ্টি করে করে দেহটিকে অচল করে। 

তাই ক্যান্সার হলে প্রথমে চেষ্টা করা হয় ওই রান্না ঘরটিকে বা রান্নাঘরের যে অংশে গন্ডগোল শুরু হয়েছে সেটিকে কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া যায় কিনা বাকি শরীরটিকে বাঁচাতে। কিন্তু মাথায় ক্যান্সার হলে তো আর মাথা কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তখন সার্জারি করা যাবে না। তখন ভাবা শুরু হয় কোনো ভাবে ওই বদ লোকগুলিকে টার্গেট করে সরাসরি ওদের মাথায় বোমা ফেলে (রেডিয়েশন থেরাপি) ওদের নিচ্ছিন্ন করে দেওয়া যায় কিনা। কিন্তু তারা আছে তো আপনার রান্নাঘরেই। সেখানে বোমা ফেললে আপনার রান্নাঘরের বাকি ভালো সদস্যদের মধ্যেও কিছু লোক মারা যাবেই। যতই টার্গেট করা হোক না কেন, এই কোল্যাটারাল ড্যামেজ আপনি এড়াতে পারবেন না। এখন চেষ্টা হচ্ছে এই ব্যাপারে কিছু করার। কিন্তু তবুও যতক্ষণ তারা এই রান্নাঘরেই আবদ্ধ আছে ততদিন এই বোমাটি আপনি ফেলতে পারবেন। একবার রান্নাঘরের বাইরে বেরিয়ে এসে সারা বাড়িতে ছড়িয়ে গেলে কিন্তু এই অপশন আপনার আর থাকবে না। কারণ কোন জায়গায় বোমা ফেলবেন? সারাশরীরে কোথায় যে তারা আছে, আর কোথায় যে তারা নেই সে জানতে জানতেই তো তারা সে অঞ্চলের ক্ষতি করে দেবে। আর কত জায়গায় বোমা মেরে নিজের বাড়িকে নষ্ট করবেন? সুতরাং রেডিয়েশন কাজ করবে কেবল ছড়িয়ে পড়ার আগে। আর ছড়িয়ে গেলে রাসায়নিক ওষুধ দিয়ে (Chemotherapy) আপনার বাড়িরই সুরক্ষা বাহিনীর (ওই যে বললাম আগের প্যারাগ্রাফে) কার্যকলাপে সাহায্য করার চেষ্টা করা হয়। মানে তাদের শক্তি বাড়িয়ে, আরো অস্ত্র দিয়ে, উৎসাহ দিয়ে গুন্ডা বাহিনীকে বাগে আনার চেষ্টা করা হয়। বা ছড়িয়ে পড়া ক্যান্সার কোষগুলি যাতে অন্য জায়গায় বাসা বানাতে না পারে সে চেষ্টা করা হয়। বা সরাসরি তাদের মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়।
এখন আপনার নিজের রান্নাঘরে খারাপ লোক থাকতেও এত কিছুর মাঝে আপনি যদি বাইরের খারাপ লোকজনের কাছে নিজের রান্নাঘরের দরজা অবাধে খুলে দেন, মানে বাইরের কার্সিনোজেনকে (এলকোহল, সিগারেট, বিড়ি, বিশেষ কোনো রাসায়নিক ইত্যাদি) ভেতরে নিজেই ঢুকতে সহায়তা করেন তাহলে আপনার ঘরের গন্ডগোলকে আপনি নিজেই শত গুণে বাড়াবেন। সুতরাং ওদের বাড়ির বাইরে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর রইলো বাকি ঘরের মুখোশ পড়া শত্রু চিনি বা চর্বি। এদের কিন্তু আপনি পুরোপুরি ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়ে পারবেন না। আপনার রান্নাঘরকে ঠিকঠাক চালিয়ে নিয়ে যেতে এদেরও একটা অবদান আছে। কিন্তু কিন্তু কিন্তু......এদের চিনে রাখুন। মোটেই বাড়তে দেবেন না । নইলে এরাও আপনার ওই রান্নাঘরের গন্ডগোলে ভালরকম ইন্ধন দেবে।

যাই হোক, আজ অনেক গপ্প হলো। আজ যাই। আপাতত আমার রান্নাঘরে কাল থেকে মাছ সবজিরা কাঁদছে ফ্রিজে শুয়ে শুয়ে। তাদের একটা হিল্লে করি গে। পরের সপ্তাহে আবার অন্য কিছু নিয়ে গপ্প হবেখন। 

ভাল থাকুন সবাই।
অর্পিতা       

0 comments:

Post a Comment