Saturday, 12 October 2019

#এই_সপ্তাহের_শেষে-1

#এই_সপ্তাহের_শেষে

১. কৈফিয়ৎ
---------------

নাহ, এবার ভাবলাম শুরু করেই ফেলি। অনেকদিন ধরেই ভাবনাটা ছিল। বলা ভাল, ভাবনাটা তৈরী হচ্ছিল, বিবর্তিত হচ্ছিল। কিন্তু ভাবনার প্রকাশ যে করতেই হবে, করাটা যে অত্যন্ত জরুরি, সে বিষয়ে কোনো দ্বিধাই ছিল না। কোনো একটি কাজ শুরু করার আগে সে সংক্রান্ত ভাবনার বীজটা থেকেই থাকে ভেতরে। কোনো একটা ঘটনায় সেই ভাবনাটা তীব্র হয়ে ওঠে। তারপর নানান ঘটনায় কাজটা শুরু করা একটা দায় হয়ে পড়ে।

ভাবনা বা কাজটা কী সেটা বলার আগে একটা কথা প্রথমেই বলি, এখানে আমি সোজা কথা সোজা এবং সপাটেই বলব। কোনো সাহিত্যসৃষ্টি, ভনিতা বা অপ্রয়োজনীয় বিনয় না করেই। করলে, যে উদ্দেশ্যে এই আয়োজন, সেটার গোড়াতেই গলদ রয়ে যাবে।

এবার ভাবনাটা তীব্র হয়ে ওঠার পেছনের ঘটনাটা বলি। ২০১৬ সাল জুলাই-আগস্ট মাস। ওমাহায় কাজ করতে আসার আট-নয় মাস পরের কথা। ড্রাইভিং টেস্ট দিতে গেছি। ওমাহায় পাবলিক বাস হাতে গোনা কয়েকটা চলে নির্দিষ্ট রুটে। সুতরাং, গাড়ি থাকাটা লাক্সারি নয়, বাজার দোকান করার জন্যই অত্যাবশকীয়। যেসব শহরে বাস ট্রেন চলে, সেখানে রিসার্চ স্কলাররা বিলাসিতা দেখাতে গাড়ি কেনে না। একাডেমিক রিসার্চ স্কলার বা পোস্টডক্টরাল ফেলোদের আর্থিক সামর্থ্য যা, তাতে বিলাসিতার জায়গাই নেই। তারা পুরোনো, ব্যবহৃত গাড়ি কম দামে কেনে। কেনে মানে, চার-পাঁচ বছরের কন্ট্রাক্টে, মাসিক কিছু ডলারের কিস্তিতে। আর কিছুটা ডাউন পেমেন্টের জন্য বেশিরভাগ সময়েই তাদের চেনাশোনা সিনিয়র বা ব্যাংক থেকে ধার নিতে হয়। আমরাও তাই করেছিলাম। এত কথা বলছি কি জন্য? কারণ, এই সিরিজের পাঠকদের মাথায় এইটা সর্বদা থাকা উচিৎ বলে আমার মনে হয়েছে যে, আমেরিকা (বা অন্য ইউরোপিয়ান দেশে) যারা রিসার্চ করতে আসে তারা টাকার গদিতে শুয়ে থাকে না। প্রথমে আসে কাজটা করবে বলে, অনেক ডলার রোজকার করবে বলে নয়। রিসার্চে টাকা রোজকার করা যায় না। একথা যেকোনো দেশে রিসার্চের জন্য বাজেটে বরাদ্দ টাকার পরিমাণ বা শতকরা ভাগ থেকেই  আপনারা যে কেউ, যে কোনো সময় মিলিয়ে নিতে পারেন। এবং সবচাইতে বড় কথা, এসব কথা জেনেই তারা রিসার্চ করতে আসে। কেন আসে, সে কথা অন্য আর একদিন বুঝিয়ে বলবখন। 

সুতরাং খেয়ে পরে বেঁচে থাকার রসদ সংগ্রহ করতেই ওমাহার মতন জায়গায় আমাদের মতন আজন্ম বাসে-ট্রেনে গলদঘর্ম হয়ে যাতায়াত করা লোকজনের গাড়ি চালানোর দরকার হয়ে পড়ে। মাস দেড়েক সিনিয়র দাদার কাছে হাতেখড়ি আর অভ্যাস করে একদিন ড্রাইভিং টেস্ট দিতে গেলাম। আমার পাশে বসে এক্সামিনার আমায় নিয়মমত সকালের ব্যস্ত রাস্তায় এদিক ওদিক ঘুরিয়ে, এমার্জেন্সি স্টপ করিয়ে, আরো যা যা ওদের নিয়ম আছে সেসব দেখে আধঘন্টা পর ফিরিয়ে নিয়ে এলেন। সেযাত্রা যদিও আমি লাইসেন্স পাইনি। কারণ, সমস্ত রাস্তাটা ঠিকঠাক চালিয়ে আসার পর ব্যস্ত চৌমাথায় প্রায় চোখের সামনে একটা এক্সিডেন্ট হতে দেখে ভয়-টয় পেয়ে আমি রাস্তার পাশে বাঁধানো জায়গায় (কার্ব বলে এখানে) গাড়ির একটা চাকা তুলে দিয়েছিলাম। স্বভাবতই পরীক্ষক আমায় ফেল করিয়েছিলেন। পরের মাসে আবার পরীক্ষা দিয়ে সসম্মানে অনুমতি পেয়েছিলাম। যাক সেসব অন্য গল্প। এ সিরিজের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই। এই সিরিজের সাথে যুক্ত এর পরের অংশটি।

আমার ফেল করে ফিরে আসার পর পিনাকী গেল ওই একই পরীক্ষকের সাথে পরীক্ষা দিতে। আধঘন্টা পর ফিরে এলো হাসি মুখে। পাশ করেছে। এরপর থেকে মন দিয়ে শুনুন। গাড়িতে ওঠার সাথে সাথে পরীক্ষক পিনাকী জিজ্ঞাসা করেছেন, সে কি করে। পিনাকী বলেছে সে রিসার্চ করে। বিষয়টা প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার। এই একটি কথা শুনেই নাকি পরীক্ষক একেবারে আপ্লুত হয়ে পড়েছেন। ওমাহায় ভারতীয় রিসার্চ স্কলারের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সুতরাং এই কথায় এত বিহ্বল হবার কি আছে? কারণটা পরীক্ষকের পরের কথায় পরিষ্কার হবে। "ওহ, প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার! খুব খারাপ ক্যান্সার, মরণ ব্যাধি তাইনা? আর TGF-beta এর জন্য দায়ী তাই না?" পরীক্ষকের বলা বাক্যটার প্রথম অংশে অবাক হবার মতন কিচ্ছু ছিল না। প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার যে মারণ ব্যাধি একথা সকলেই জানে। কিন্তু দ্বিতীয় অংশটায় অবাক হবার মতন যথেষ্ট মশলা রয়েছে। একজন মোটর ভেইকেল ডিপার্টমেন্টের রাজ্যসরকারী কর্মচারী প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার জানতে পারেন কিন্তু "TGF-beta" কথাটা জানবেন কি করে? পিনাকীও যথেষ্ট অবাক হয়েছিল। এতটাই অবাক হয়েছিল যে, গাড়ির সিটবেল্ট না লাগিয়েই ড্রাইভিং টেস্ট দিতে শুরু করে দিয়েছিল। অতঃপর পরীক্ষক ব্যাখ্যা করেছেন যে তিনি ইন্টারনেটে প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সারের কথা পড়তে গিয়ে TGF-beta সম্পর্কে জেনেছেন। এবং তার পরে পুরো ড্রাইভিং টেস্টের রাস্তাটাই প্যানক্রিয়েটিক ক্যান্সার, রিসার্চ এইসব সংক্রান্ত কথাবার্তা বলেছেন এবং প্রায় বিনা প্রশ্নেই পিনাকীকে পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ ঘোষণা করেছেন। গল্প এখানেই শেষ। এবার কাজের কথা বলি। এই ঘটনা থেকেই তিন বছর পর আমার এই সিরিজের উৎপত্তি। কেন? বলছি।

এখন ভাবছেন তো, TGF-beta আবার কি? একটা বাক্যে বললে, আমাদের দেহের কোষ নিঃসৃত অসংখ্য অত্যাবশকীয় পদার্থের মধ্যে একটি, যা কোষকে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে।  আর বেশি হলে শুধু প্যানক্রিয়াটিক কেন, অনেক রকম ক্যান্সার বা অন্য রোগও বাঁধতে পারে। কিন্তু আজকের লেখাটা এই TGF-beta নিয়ে নয়। ভয় পাবেন না। এবিষয়ে আপনাদের জ্ঞানদান করব না। তাহলে এই গল্প আপনাদের সামনে ফেঁদে বসলাম কেন? কারণটা আরো একটু বিশদ। আরো বেশি ভাবনার দাবি রাখে। 

ভাবুন, সরকারি অফিস কাজ করা একজন মানুষ, প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সারের কথা জানতে ইচ্ছে হয়েছে বলে ইন্টারনেটে কিছু পড়াশুনা করেছেন। সেখান থেকে TGF-beta র নাম জেনেছেন। অর্থাৎ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু জানার থাকলে, জীববিজ্ঞান তেমন ভাবে না জানা মানুষও ইন্টারনেট থেকে পড়ে কিছুটা ধারণা করতে পারেন। এটা আশার কথা। কিন্তু সাথে সাথে ভয়েরও কথা। কারণ, এক, তিনি জানবেন না-যেখান থেকে তিনি পড়ছেন, সেটি নির্ভরযোগ্য উৎস কিনা। অর্থাৎ, টাইপ করা লাইনগুলির সত্যতা, বিশেষজ্ঞের দ্বারা যাচাই করার পর ওই ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে কিনা? আর দুই, যা পড়ছেন, আর যা বুঝছেন, দুটোই একই কিনা? যেমন এক্ষেত্রে, TGF-beta র ব্যাপারটা। TGF-beta কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া নয়, যে শরীরে এলো আর আপনার প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার হয়ে গেল। এর জন্যেই যে প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার হয় তার কোনো স্থিরতা নেই। কিন্তু ভদ্রলোক পড়েছেন, ভগবান জানেন কোন সোর্স থেকে, আর কনফিডেন্সের সাথে বলছেন যে TGF-beta থেকে প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার হয়। আমাদের দেশে আরো একটি সমস্যা এর সাথে যুক্ত হয়। সেটি হলো, আমাদের অনেকেরই ইংরাজিতে পড়বার অভ্যাস নেই। আর ইন্টারনেটের তথ্য প্রায় পুরোটাই ইংরেজিতে। মনে করুন, অতি অল্প পড়াশুনার সুযোগ পেয়েছে এমন একজন মানুষ, যাঁর হাতে স্মার্টফোন আছে, তিনি কেবল ভাষাটিতে সড়গড় নন বলেই গুগুল থেকে তার প্রশ্নের উত্তর পেলেও পুরোপুরি আত্মস্থ করতে পারবেন কি? ফলে আমাদের আশেপাশেই এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত unsupervised স্বাস্থ্যবিজ্ঞান সংক্রান্ত খবর পড়ে বিভ্রান্ত হন। 

এজন্যই এখন বহু চিকিৎসক অমূল্য সময় ব্যয় করে তাদের লেখা লিখছেন। মানুষ অনেক কিছুই স্পষ্ট জানতে পারছেন। কিন্তু তবুও একটি গ্যাপ এখনো আছে। সেটি হলো আমাদের মত মানুষরা ঠিক কি করি, কিভাবে করি, করে কি এমন ব্যাঙের মাথা উপকার হচ্ছে, সেটি সম্পর্কে বিশেষ কোনো লেখা আমার চোখে অন্তত পড়ে না। তার একনম্বর কারণ হলো, আমরা জানাতে আগ্রহী নই অনেক সময়েই। সময়ের অভাবে, লেখার ইচ্ছের অভাবে এবং অবশ্যিই পাঠকের উৎসাহের অভাবে কারণে। মানুষ জানতে চান না গবেষনা সম্পর্কে। কিন্তু পত্র পত্রিকা পড়ে বিজ্ঞানের অজস্র ভুল ব্যাখ্যা করেন অহরহ। অনেকসময়ই যার বিন্দুমাত্র সত্যতা থাকে না। আবার গুছিয়ে লিখলে সেটি একটু বেশি মাথা খাটাতে হবে বলে, "পরে পড়বখন" বলে পাশে সরিয়ে রাখেন। স্টিফেন হকিংস এর প্রকাশক তাঁর 'A brief history of time' প্রকাশের আগে তাঁকে বলেছিলেন, ওয়ান ফর্মুলা ইক্যুয়াল টু টেন থাউজেন্ড রিডার। মানে লেখায় একটি ফর্মুলা থাকা মানে ১০০০০ কম লোক বইটি কিনবে। এবং এই জন্য সে বইয়ের ভূমিকায় তাঁকে পাঠকদের আশ্বস্ত করতে লিখতে হয়েছিল, যে, E=mc^2 ছাড়া এই বইতে কোনো ফর্মুলা ব্যবহার করা হয়নি। 

আমাদের মুখ না খোলার কারণে বেশ কিছু বাজে এবং ভুল ধারণা চলে আসছে। তার দায় আমিও অস্বীকার করতে পারিনা। যেমন, 

১. আমারই আত্মীয়, বন্ধু, পরিচিত মহলে যদি এজাতীয় ধারণা চলে যে, "ক্যান্সার কোনো রোগ নয়, ভিটামিন-C এর অভাব। ড্র্যাগ কোম্পানি গুলো ব্যবসা করবে বলে এসব চালাচ্ছে।" তবে তার কিছুটা দায় আমারও বটে। এই ধারণাকে লালন করলে, অজস্র ক্যান্সার রিসার্চারের দিবারাত্র এক করে, টাকা-পয়সার তোয়াক্কা না করে, পুরো জীবনের পরিশ্রমকে কি পরিমাণ অপমান করা হয় সে ধারণা দেব বলে এই সিরিজের শুরু। 

২. "রিসার্চ আজকাল পুরোটাই মার্কেটিং আর কোম্পানিগুলো থেকে ফান্ডিং পাবার ধান্দা" এই বাক্যের সত্যতা আদপে কতটা সেটা আমার ট্রেনিং, শিক্ষানবিশির অভিজ্ঞতা থেকে ধারণা দেওয়ার ইচ্ছেতেই এই সিরিজ। 

৩. নতুন গবেষণার (Bio-medical science) কথা গল্পাকারে শোনাবো বলেই এই সিরিজ। 

৪. এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবর গুলির সত্যতা এবং অথেন্টিসিটি কিভাবে বিচার করতে হয়? কি তার মাপকাঠি? বায়ো-মেডিক্যাল রিসার্চের কোয়ালিটি কন্ট্রোল কিকরে করা হয়? কোনো কোম্পানির সে রেজাল্টে কারচুপি করার কোনো ক্ষমতাই যে নেই সেকথা ততক্ষণ বোঝানো সম্ভব নয়, যতক্ষনণ না গোড়া থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো পদ্ধতিটা মানুষ জানছেন। নইলে অত্যন্ত কনফিডেন্সের সাথে যেকোনো একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত, যেকোনো একটি খবরে তিনি বিশ্বাস করবেনই। কারণ, ঠিক-ভুল বিচার করার পদ্ধতিটি তাঁর সামনে কেউ তুলে ধরছে না। 

মানুষ সমস্ত কিছু সম্পর্কে উৎসাহী, কেবল বিজ্ঞান বাদে। তার কারণ হিসেবে তাঁরা এই বাক্যটি খাড়া করেন-"আমরা তো সাধারণ মানুষ, আমরা কি বুঝবো?" এর মধ্যে আমাদের খুব খুব কাছের লোকেরাও আছেন। আসলে মাথা খাটাতে অনীহা। এত পরিশ্রম কে করে? হয়ত উৎসাহ দেখালে দেখতেন, যিনি বলছেন, তিনি অত্যন্ত সহজ করে গল্পাকারে বলছেন। পরিশ্রম ছাড়াই সঠিক তথ্য আপনার হাতে চলে আসত। 

আমি একটু আধটু জীববিজ্ঞান শিখেছি, শিখছি এবং আশা করছি ভবিষ্যতেও শিখব। সেই অভিজ্ঞতা আর ট্রেনিং থেকে আমি Bio-medical science এর গবেষণা এবং গবেষকদের কথা লিখব। যেমন পারি তেমনই লিখব। সপ্তাহে হয়ত একটাই লিখে উঠতে পারব (সেজন্যই সিরিজের নাম: 'এই সপ্তাহের শেষে')। প্রতিটি তথ্যনির্ভর লেখা reference সমেত লিখব। যা জানিনা, সেটা লিখব না। কিন্তু এটুকু নিশ্চয় করে আমি বলতে পারি, যা লিখব, তা ১০০% অথেন্টিকেটেড। কারণ সে ট্রেনিং আমার আছে।

সুতরাং আমি চেষ্টা করব। এবং আরো একটা কথা, আমি যেটুকু লিখি ফেসবুকে, কখনো বিশেষ কারণ ছাড়া কাউকে ট্যাগ করি না। তাতে আমার মনে হয়, জোর করে ঘাড় ধরে মানুষকে আমার লেখা পড়তে বাধ্য করছি নাতো? কিন্তু এই সিরিজের ক্ষেত্রে আমি বেশ কিছু মানুষকে ট্যাগ করব। কারণ, তাদের সূত্র ধরে এই লেখা বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছোবে। আর সেটাই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য। তাতে যদি অন্তত এই হাস্যকর ভুলভাল ধারণাগুলির কিঞ্চিৎ বদল হয়। যদি কারো ট্যাগিংএর জন্য কিছুমাত্র অসুবিধা থাকে, নির্দ্বিধায় বলবেন। আমি ট্যাগ সরিয়ে নেব।   

পড়ুন। কিছু ভুল লিখলে শুধরে দিন। বাজে কথা বলছি মনে হলে, আপনার যুক্তি দিয়ে আমায় খণ্ডন করুন। যদি মনে হয়, আরো কিছু না বলা রয়ে গেল, জিজ্ঞাসা করুন। আমি না জানলে, আমার পরিচিত কেউ সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হলে তাঁকে টেনে এনে আমরা দুজনেই শিখে নেব। কিন্তু ঠিকটা না জেনে কোনো ধারণা করবেন না দয়া করে। বেসিক রিসার্চ সম্পর্কে উদাসীন থাকাটা আমার-আপনার দুতরফেরই লজ্জার। আমি আমার কাজ শুরু করলাম। আপনাকেও ডাক দিলাম হাতে হাত ধরার। 

ভাল থাকবেন সবাই।

অর্পিতা



   

0 comments:

Post a Comment