Thursday, 9 October 2014

মহিষাসুরমর্দিনী ও মিষ্টি বিতরণ

মা দূর্গা তো এইমাত্র সবে কৈলাসে ল্যান্ড করে হাত পা ধুয়ে নন্দী-ভৃঙ্গী-চ্যালা-চামুন্ডাদের কাছে মর্ত্যলোকের গল্পগাছা সেরে ভাবতে বসেছেন কি কি তরিতরকারী আছে ফ্রিজে এবার তো রান্না বান্না সুরু করতে হবে। মা লক্ষী তো ফিরব ফিরব করছেন এখনো ফেরেন নি। মানে এইসব ভ্যানতারা করে আমি বলতে চাইছি যে, এখনো তো পুজোর রেশ মেলায়নি, এখনও পুজোর গপ্প করা যায় তাই না? আমার একখানা মারাত্মক পুজোর গল্প জমে আছে। এখনো না বললে স্রেফ পেট ফেটে মরে যাব। অবিশ্যি গল্পটা এইবছরের পুজোর নয়। বছর বাইশ-তেইশ আগেকার তো বটেই। এতদিন চেপে রেখেছিলাম।  ফলে বুঝতেই পারছেন কি মারাত্মক ব্যাপার। ওই যে ছোটবেলার এক বিশ্বকর্মা পুজোয় আমাদের বাঁদরামোর গল্প বলেছিলাম না, সেখানেই তো আপনাদের একটু বলেছিলাম যে আরো এককাঠি সরেস ঘটনার গল্প শোনাব আপনাদের। সেটাই বলতে বসেছি আজ। এইটিই আমার শেষ বাঁদরামি। এর যে মারাত্মক প্রভাব আমার মনের ওপর পড়েছিল তারপর থেকে আমি আর ও রাস্তায় যাইনি। সেদিন আমার জন্য জনগণের গণপিটুনির চোটে আমার কচি কচি বন্ধুদের যে মৃত্যু হয়নি সেটাই যথেষ্ট। ঘটনাটা? হ্যাঁ হ্যাঁ এই যে বলছি এইবার।

তখন আমাদের কত বয়স হবে? দশের আশেপাশে। মাথায় বাঁদরামি বুদ্ধিতে ভর্তি। দুর্গাপুজোর অষ্টমী। পাড়ার প্যান্ডেলে বসে বোর হচ্ছি সক্কলে। কারণ রোদ পড়তে না পড়তেই নতুন জামা খরমরিয়ে বেরিয়ে পড়েছি অভিযানে। আশেপাশের চারটে প্যান্ডেলের ঠাকুর গত তিনদিন ধরে তিরিশবার দেখা হয়ে যাওয়া সত্বেও একতিরিশতমবার দেখে এসেছি। তারপরে প্যান্ডেলের পেছনে পাড়ার রেশন দোকানের সামনের একটুকরো জমিতে মহালয়ার দিনে টিভিতে দেখা 'মহিষাসুরমর্দিনী' পালার অভিনয় হয়ে গেছে। 'মহিষাসুরমর্দিনী' পালা-র ব্যাপারটা একটু বলার লোভ সামলাতে পারছি না।

পুজোর পাঁচদিনই (মানে আমাদের পুজো তখন ষষ্ঠী থেকে শুরু হত আর কি) আমরা একটা বিপুল আনন্দের কাজ করতাম। যেটা বছরের আর বাকি তিনশ ষাট দিনে করা হত না। ব্যাপারটা হলো মহালয়ার দিনে টিভিতে সকালবেলা যে 'মহিষাসুরমর্দিনী' বা 'দূর্গা-দুর্গতিনাশিনী' গোছের অনুষ্ঠান দেখানো হত সেটি আমরা কুঁচোর দল ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রতিদিন পাড়ার প্যান্ডেলের পেছনে আধো-অন্ধকারে নিজেদের মতন করে নাচা-নাচি-নকল যুদ্ধ ইত্যাদির মাধ্যমে পুনরোনুষ্ঠিত করতাম। টিভি অনুযায়ী, মা দুগ্গার নাচ জানাটা অত্যন্ত জরুরী। তাই মা দুগ্গার ভূমিকাটা সর্বসম্মতিক্রমে মোমের প্রাপ্য। কারণ আমরা বাকিরা প্রত্যেকেই নাচে এক একটি উদয়্শংকর। মোম দুহাতে বাঁশের কঞ্চি বাগিয়ে ধরে গোলগোল চোখ করে লাফিয়ে-ঝাঁপিয়ে-নেচে-কুঁদে মহিষাসুরের পেছনে গোল হয়ে ঘুরছে। মহিষাসুরও (সে অবশ্যই কোনো একটা ছেলে, কারণ আমরা মেয়েরা কোনো মতেই নতুন জামার মায়া ছেড়ে মাটিতে গড়াগড়ি দেব না) আর একটা কঞ্চি বাগিয়ে ধরে মুখে প্যাঁ প্যাঁর প্যাঁ প্যাঁ বাজনা বাজিয়ে দুর্গার সাথে যুদ্ধ করছে। আমি যথারীতি নতুন ফ্রক গুটিয়ে মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে সিংহ সেজেছি। বেশ খানিকক্ষণ কঞ্চিতে কঞ্চিতে যুদ্ধ হবার পর ঘাসে ভালো করে পা মুছে (নইলে আমার নতুন জামায় ময়লা লেগে যাবে, আর মা আমার সিংহ সাজা বার করে দেবে) আমার ঘাড়ে একটা পা রেখে হাতের লম্বা বাঁশের কঞ্চিটা মহিষাসুরের বুকে খুঁচে দিয়ে চোখ বড়বড় করে দাঁড়িয়েছে দুগ্গা ঠাকুর মানে আমার বন্ধু মোম। তার পায়ের কাছে জোর করে মহিষাসুরকে শুইয়ে দেওয়া হয়েছে। আর চারপাশে লক্ষী-সরস্বতী-কার্তিক-গনেশ যে যার মতন দাঁড়িয়ে গেছে। তখন পাশ থেকে বুবুন মুখেই পুঁ উ উ উ উ করে শাঁখ বাজিয়ে দিল। এই যে প্রচন্ড রোমহর্ষক ব্যাপারটা চলত এটাই হলো আমাদের মহিষাসুরমর্দিনী' পালা। প্রতি বছরই ষষ্ঠী থেকে দশমীতে প্রতিদিন সন্ধ্যেবেলা এটা আমাদের মাস্ট টু ডু লিস্টের এক নম্বর আইটেম।

তো সে যাই হোক, যেদিনের কথা বলছি সেদিন এই রোমহর্ষক খেলাটিও খেলা হয়ে গেছে। পাড়ার প্যান্ডেলে সন্ধ্যারতি-ধুনুচি নাচ এবং তত্সহ পাড়ার উঠতি দাদাদের প্রবল নাচন-কোঁদন শেষ সেদিনের মত। সন্ধ্যারতি সেরে পাড়ার মা-কাকিমা-জ্যাঠিমার দল আমাদের কুঁচোদের গলার বাকলস খুলে দিয়ে নিজেরা বাকি ঠাকুর দেখতে গেছেন। আমরা কিনা সেসব ঠাকুর একত্রিশবার দেখে ফেলেছি তাই বত্রিশতমবার আর যাব না এই অজুহাতে স্বাধীনতা ভোগ করছি। তখন তো আর টাইমপাসের সবচেয়ে ভালো উপায়টা জানতামনা। বেশ লোকজনের নামে সবাই মিলে নিন্দেমন্দ করে সুন্দর নির্বিঘ্নে সময় কাটিয়ে দেওয়া যেত। তাহলে টাইমপাস করতে গিয়ে জনতার হাতে মার খেতে খেতে বাঁচতে হত না। মোদ্দাকথা জীবনের সব ফুর্তি শেষ সেদিনের মত।

এমন সময় কি করে যেন হাতে এসে গেল সেবছরের দুর্গাপুজোর সময় নির্ঘন্টের লিফলেটের একটা বেওয়ারিশ বান্ডিল। আমাদের ওখানে কোনো বছরেই এই বিষয়টি ছাপা হত না। গ্রামের পুজো, মুখে মুখেই সকলে জেনে যেত কোন পুজো কখন হবে। সেবছরই কেন যে এই বস্তুটির আবির্ভাব হয়েছিল কে জানে? বোধহয় আমার মাথা থেকে বাঁদরামির পোকাটা সারা জীবনের জন্যে বার করে দেবার জন্যই হবে। কে জানে। তো সেই হলদে রঙের পাতলা কাগজের বান্ডিলটা দেখে মাথার পোকা নড়ে উঠলো। খুঁজে পেতে সকলের পকেট হাতড়ে কটা খুচরো পয়সাও পাওয়া গেল। বলাই বাহুল্য এই চাঁদা সংগ্রহে সংগ্রহ করা ছাড়া আমার কোনো অবদান ছিল না। আধুলি-সিকি জড়ো করে গুনে গেঁথে মোট গোটা আট-দশ টাকা হয়েছিল। সঠিক কত আমার তা মনে নেই। সেই নিয়ে সোজা পন্ডিতের মিষ্টির দোকানে। সেখান থেকে কেনা হলো মিষ্টির খালি কাগজের প্যাকেট। প্যাকেট এনে খাপে খাপে ভাঁজ করে মিষ্টির বাক্স রেডি। এবার তার মধ্যে এন্তার হাবিজাবি জিনিস ঠুসে, রাবার ব্যান্ড দিয়ে আটকে ওপরে একটা করে সেই হলদে পাতলা কাগজে লালকালি দিয়ে ছাপা দূর্গাপুজোর সময় নির্ঘন্ট দিয়ে আমরা রেডি হয়ে বসে রইলাম সম্ভব্য দর্শনার্থীর আশায়। গোটা পাঁচ-সাত প্যাকেট ছিল মনে আছে। এর মধ্যে ষোলোকলা পূর্ণ করতে প্যান্ডেলের চরণামৃত বিতরণের বাটিটি ঘুরতে ঘুরতে এসে পড়ল আমাদেরই কোন কুঁচোর হাতে। মানে কেউ প্রচন্ড ভক্তি সহকারে পূন্যার্জন করতে এলে তাঁকে ওই চিনি মেশানো ফুল পাতাওয়ালা জল এক কুষি দিতে হবে। আমরাও সানন্দে রাজি হয়ে গেলাম। কারণ তাতে করে আমাদের দেওয়া প্যাকেটের যথার্থতা বাড়ে। কেউ সন্দেহ করবে না।

এই চরণামৃত আর হলদে কাগজের নির্ঘন্টের জোরে আমরা এক দুই করে গোটা তিনেক প্যাকেট গছিয়েও দিলাম লোকজনদের। কেউ তো আর তক্ষুনি খুলে দেখবে না, কি দিল 'সার্বজনীন দুর্গোত্সব কমিটি'-র পক্ষ থেকে। আমাদের মনোবল বাড়তে লাগলো। আর ওভার কনফিডেন্সে মারাত্মক ভুলটা করে ফেললাম। বড়রা খুলে দেখবে না কিন্তু ছোটরা তো এসব চক্ষুলজ্জা টজ্জার ধার ধারে না। ভুল করে চার নম্বর প্যাকেটটা গেল একটি বাচ্চা ছেলের হাতে মানে আমদের তুলনায় বাচ্চা। বছর পাঁচেক হবে। সে তখুনি খোলার চেষ্টা করলো। আমাদের বাঁচিয়ে দিল তার মা। "বাবু, এখন না পরে, বাড়ি গিয়ে। এখন ঠাকুর দেখো।" বাপ বাপ বলে বেঁচে গেলাম। কিন্তু মারে হরি রাখে কে? ভবি ভুলল না। ঠাকুর দেখা শেষ করেই প্যান্ডেল থেকে দুপা বেরিয়েই বাবুর বায়নায় বাবুর মা প্যাকেট খোলার উদ্যোগ নিলেন। নজরে পড়তেই আমরা পড়ি কি মরি করে বাকি প্যাকেট ফ্যাকেট নিয়ে দুদ্দাড়িয়ে প্যান্ডেলের পেছনে। সেখান থেকেই শুনতে পেলাম বাবুর মা হাঁই হাঁই করে বাছাই করা গ্রাম্য গালিগালাজের সম্ভার নিয়ে প্যান্ডেলে বসে থাকা নিরাপরাধ দুই পাড়াতুতো দিদিকে আক্রমন করেছে। শুনেই তো আর একচোট হুটোপাটি। প্যান্ডেলের পেছন থেকে মোমেদের বাড়ি সবচেয়ে সামনে। দৌড় দিলাম সেদিকে। প্যান্ডেল আর মোমেদের বাড়ি মাঝে মোরাম ফেলা রাস্তা। সেই এক পুঁচকি রাস্তা যেন দৌড়ে শেষ করতে পারছিলাম না সেদিন। মাঝে আবার মোরামে পিছলে পড়ে গেলাম আমি। না পড়লেই আশ্চর্য হতাম। সবসময়ই আমি এরকম গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে পড়ে যাওয়া-আটকে যাওয়া-হোঁচট খাওয়া ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকি। যাই হোক, পড়ে গেলাম, পড়ে গিয়ে দুটো হাঁটু ফালা ফালা হলো, সঙ্গে নতুন জামা ছিঁড়ল। খোঁড়াতে খোঁড়াতে মোমেদের বাড়িতে গিয়ে ঢুকলাম। বাকিরা আগেই পৌঁছে গেছে। আর আমার দেরী দেখে জনতার হাতে সম্ভব্য নির্যাতন আশংকায় বাড়ির বাকিদের বাইরে বেরিয়ে দেখতে পাঠিয়েছে। মোমের মা-জ্যেঠিমা আমায় বাড়ি নিয়ে গেলেন। মোমের মা আমায় তাঁদের বাড়ির বাথরুমে নিয়ে গিয়ে পা থেকে মোরাম, রক্ত ধুয়ে দিচ্ছেন, ডেটল লাগাচ্ছেন, ছেঁড়া জামা বাড়ি ফেরার উপযুক্ত করে দিচ্ছেন। আর আমি এই পড়ে যাওয়া-কেটে যাওয়া- তার ওপরে ডেটলের অত্যাচার এত কিছু হয়ে যাওয়া সত্বেও এতটুকুও কাঁদছি না। তার কারণ এই নয় যে আমার ছোটবেলা থেকেই দারুন সহ্যশক্তি। কারণটা এটাও না যে, যে দুজন দিদির উপর আমাদের 'বাবুর মা' ঝালটি ঝেড়েছেন আমাদের না পেয়ে, তারা ততক্ষণে আমাদের সন্ধান পেয়ে গেছে আর আমাদের ওপর যত্পরোনাস্তি মধুর বাক্যবাণ বর্ষণ করছে। কারণটা এই যে, তাদের মধ্যে একজন দিদি আমায় শাসিয়েছে, "দাঁড়া তোর বাড়িতে বলে দেব।" আর আমি এই একটি বাক্যেই কাবু। বাড়ি ফিরে আমার যে আজই শেষ দিন, সে বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহই ছিল না। মা-বাবা দুজনে পালা করে কম্বল ধোলাইয়ের মত করে পেটাবে। একজন ক্লান্ত হয়ে গেলে অন্যজন দায়িত্ব নেবে পেটানোর। "উফ! মরেই যাব, এবছর আর বিজয়ার দিনে প্যান্ডেলে বসে খিচুড়ি খাওয়া জুটল না আমার ভাগ্যে। কাল নবমী, কালকেই আমি মরে যাব।" এই চিন্তায় আমি প্রায় ল্যাম্পপোস্টের মত হয়ে গেছিলাম। বাইরে প্রবল গন্ডগোল। 'বাবু'-র কান্না-বাবুর মায়ের মুখের তুবড়ি-পুজো কমিটির লোকজনের তাঁকে শান্ত করার প্রচেষ্টা-বাকিদের মজা দেখা-মন্তব্য করা-আর কিছু লোকের আমাদের সন্ধানে চেঁচামেচি করা, লোকজন, চেঁচামেচি সব ছাপিয়ে আমি বোধহয় শেষ দিনের হরিনাম শুনতে পাচ্ছিলাম মনে মনে।

যাই হোক আমার অবস্থা দেখে বোধহয় মা দুগ্গার সেদিন দয়া হয়েছিল। মোমের জ্যেঠিমা বাড়ির সবার বড়। তিনি ওই দিদিটিকে বললেন যাক গে যা হয়ে গেছে যাক, ওর বাড়িতে কিছু বলিস না। সকলেই জানতেন বোধহয় আমার বাবা রাগলে একটি আস্ত শিব ঠাকুর। আমার অবস্থা ঠিক কি হতে পারে তার কিছু আন্দাজ করেছিলেন বোধহয়। দিদিটিও গাঁইগুঁই করে শেষ পর্যন্ত চুপ করে গেল। গজগজ করতে করতে বাড়ি চলে গেল। বেশ খানিকক্ষণ পরে আমায় মোমের মা সঙ্গে করে বাড়ি দিয়ে এলেন। আমি নতুন জামা আর দুটো হাঁটু কুটি কুটি করে ছিঁড়ে ভয়ে কাঠ হয়ে বাড়ি চলে এলাম। পরেরদিন ঘটনাটা বাড়ির লোক জানতে পেরেছিল। কিন্তু আমিও যে সে ঘটনার একজন সক্রিয় কালপ্রিট, সেটা বোধহয় জানতে পারেননি। পারলে মনে হয় এই ব্লগপোস্টটা আজ আর আমায় লিখতে হত না।

আমি অন্ততঃ মাস খানেক ভয়ে ভয়ে থাকতাম এই বুঝি সেই দিদি মাকে বা বাবাকে বলে দিল।  তাকে এড়িয়ে চলতাম। আর পরদিন পুজো প্যান্ডেলে গিয়ে আমি দুই হাঁটুতে ব্যান্ডেজ বেঁধে খোঁড়াতে খোঁড়াতে রুমা-মোম-বুবুন ইত্যাদি বাকি ব্যাটেলিয়ানের সাথে আবার অনেক অনেক সময় নিয়ে বত্রিশতমবারের জন্য অন্য প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখতে গেছিলাম। যাতে আমাদের প্যান্ডেলে আমাদের কেউ দেখতে না পায়। দশমীতে খিচুড়িটাও মুখ নিচু করে খেয়ে এসেছিলাম সেবার। ভাগ্যিস বাবু আবার বায়না করে নি তার মায়ের কাছে আমাদের প্যান্ডেলে আবার ঠাকুর দেখতে আসার জন্যে। উফ!!!!! কি যন্ত্রণা নিয়ে যে বেঁচেছিলাম কদিন কি বলব। আর তারপর থেকে এরকম বাঁদরামি আর করিনি কোনদিন। সত্যি বলছি। বিশ্বাস করুন।

                              

2 comments:

  1. দুধর্ষ ! গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। ভালোমানুষ ভেবে এতদিন কার সঙ্গে ঘর করেছি আমি! এতো উল্টো হয়ে ভাজা মাছ খায়। মিচমিচে শয়তান।
    আর "রাগলে শিব ঠাকুর" টি কি এই লেখা পড়েছেন? তাঁর প্রতিক্রিয়া কি হলো সেটা জানার প্রবল ইচ্ছে হচ্ছে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. খুব সাবধান! আমি কিন্তু খুব কুচুটে, খুব শয়তান মহিলা। আমার সাথে বেশি বেগোড়বাঁই আমি কিন্তু পছন্দ করি না।
      আর 'শিব ঠাকুর' পড়লে বা প্রতিক্রিয়া জানালে নিশ্চয়ই জানাব।

      Delete