Monday, 19 August 2019

মূল-February 18, 2018

একটা পিচঢালা রাস্তা, মাঝে মাঝে অবশ্য ওপরের চামড়া উঠে গিয়ে হাড়গোড় বেরিয়ে এসেছে, চকচকে ছবির মতন রাস্তা সে নয় যদিও, তবুও কাকভোরে কুয়াশা মাখা সে রাস্তায় হেঁটে বড়ো আরাম পেয়েছি। হোকনা সে খানিক ভাঙাচোরা, তবুও তার দুইপাশের জমাট বাঁধা কুয়াশা, আদিগন্ত আধসবুজ-আধহলুদ ধানের ভারে নুয়েপড়া ধানক্ষেত, সে আমার নিজের, বড়ো প্রিয়, বড়ো আরামের।  আজও একবুক কষ্ট নিয়ে তার কাছে গেলে সে বুক পেতে দেবে আমার চোখের জল ধারণ এর জন্য। আমি জানি, আজও সে ফিসফিসিয়ে বাম কানে বলে উঠবে , "কেঁদে নে মেয়ে, যতটা পারিস। সব পরাজয় এইখানে ফেলে উঠে দাঁড়া। কি বললি ? ফের পরাজয় এলে? আবার আসিস আমার কাছে। এ কান্নার জল শুকিয়ে যাবে ততদিনে আমার বুক থেকে। ফের ভিজিয়ে দিস নাহয় আমায়, তারপর উঠে দাঁড়াস। আরও একবার এর জন্য। আমি আছি তোদের সকলের জন্য।  চিরন্তন।"

আম মুকুলের গন্ধ নিয়েছো কোনোদিন, অমন কুয়াশা ভরা কাকভোরে? আমি নিয়েছি। মহূয়ার গন্ধে জগৎ মাতাল হয় শুনেছি। সে কি আমমুকুলের গন্ধের চেয়েও বেশি নেশার? কিশোরবেলার নেশাধরা দোলাচলে আরো নেশাড়ু হয়ে উঠতে সেই আমমুকুলের গন্ধের কোনো ভূমিকা কি নেই সত্যিই?

নতুন কাটা ধান, কুয়াশার আবছায়া, নেশাধরানো আমমুকুলের গন্ধ, আসন্ন দোলউৎসবের আবীর আর সদ্য কৈশোরের তাজা একটা মন, এই তো বসন্ত। আমার দেখা বসন্ত।

সূর্যাস্তের লালিমা দেখতে শেখায়নি কেউই।  শীতের শেষে, বাতাসে যখন হিম ফুরিয়ে যায়নি সেই বছরের মতন,তখন শিরশিরে হাওয়ায়, সদ্যকাটা ধানক্ষেতে বসে সন্ধ্যা নেমে আসা দেখেছি সেই কোন ছোট্টবেলায়। অজান্তেই কখন শিখে গেছি, অস্তগামী সূর্যদেব বিদায় নেন কেবল পরদিন আবার আমায় জাগাবেন বলে।  অশরীরী কেউ যেন বুকের মধ্যে বসে শিখিয়ে দিয়ে গেছে, "সে বিদায়বেলায় শান্ত থেকো। কোলাহল সন্ধ্যাসূর্যের জন্য নয়। অনুভব করো তার শেষ কিরণটুকু। শুষে নাও অন্তরে। আসন্ন রাত্রির পাথেয় কর তাকে।" মাঠের শেষে পড়শী গ্রামের গাছপালার আড়ালে চলে যেতেন সূর্যদেব। অপলক আমায় তাঁর কমলা-লাল আভায় আপাদমস্তক অবিচল করে দিয়ে। ফ্রকপরা সেই ছোট্ট আমি সেই তবে থেকেই সূর্যদেব এর বিদায়কালে আর বিদায়সম্ভাষণ টুকুও জানিয়ে উঠতে পারিনি কোনোদিন। সূর্যাস্তের রক্তিমাভা চোখে লাগলেই কেমন করে যেন ঝিমধরা চোখে কেবল তাকিয়ে থেকেছি, থাকি। শান্ত হয়ে আসে ভিতর-বাহির। আশেপাশের সমস্ত কিছু মুছে গিয়ে ভেসে উঠতে থাকে আমার আশৈশব এর সদ্যকাটা ধানক্ষেত, আর আমার কিশোরী চোখে দেখা অস্তগামী সূর্যদেব। যিনি বিদায় নিচ্ছেন কেবল ফিরে এসে আমায় জাগবেন বলে।

কুয়াশা মাখা-পাকা ধানক্ষেতের পাড় আঁকা-ভাঙা রাস্তা, বসন্তের আমমুকুলের গন্ধের নেশা, সন্ধ্যে নামার আগে, দিগন্তছোঁয়া ফাঁকা ধানক্ষেতে বসে সেদিনের মতো লাল-কমলায় সম্মোহিত হয়ে যাওয়া। এই আমার শৈশব-কৈশোর। এ কোনো কাব্য করে বলা কথা নয়, মধ্যাহ্ন সূর্যের মতো সত্যি। সত্যিকারের আমি। এখনকার আমির মূল। যে আজও আমার চোখের জলে বুক পেতে দেয়। মেরুদন্ড সোজা করার শক্তি জোগায়। যার কারণেই আজও সব পরাজয় সরিয়ে রেখে নিজেকে দেখি সম্মোহিতের মতো স্থির কি অপূর্ব এক সৃষ্টির সামনে।

http://ichhekhata.blogspot.com/2017/02/mul.html?m=0

Written on December 28th, 2017

“The wound is the place where the Light enters you.”-Rumi

পিঠ সোজা করে বোসো একবার, বন্ধ করো চোখ, প্রবেশ করো নিজের ভিতরে, বুকের খাঁচা ভরে নিঃশ্বাস নিয়ে থুতনি উঁচু করে তাকাও দেখি আকাশের দিকে, এবার একবার ফুসফুস খালি করে ত্যাগ করো দেখি সমস্ত আবর্জনা।

করেছো?

এবার সত্যি করে বোলো দেখি, মাথার ভিতরটা একটুও খালি হল কিনা? দুকাঁধে পেশিগুলো একটুও শিথিল হয়নি কি? দুই ভ্রূ এর মাঝের চামড়াতে একটা ভাঁজও কি কমেনি?

কি বলছো?

জানিনা ঠিক কি পরিবর্তন হলো, কিন্তু ঠিক এর পরের শ্বাসটা মনে হলো যেন একটু বড় করে নিতে পারলাম।

তবে তো উৎসব শুরু।

তুমি যুদ্ধে জিততে শুরু করেছো যে। একটি একটি করে শ্বাস তোমার হয়ে কথা বলবে এভাবেই। তারপর শ্বাসের সাথে সাথে একটু একটু করে দেখবে গোটা ফুসফুসটা তোমার কথা শুনে চলছে। তারপর একদিন দেখবে পুরো শরীরটা, যেখানে তুমি রয়েছো এতগুলি বছর ধরে, সে তোমার কথা শুনতে শুনতে ক্রমশঃ তুমি হয়ে উঠেছে। আর অনুভূতিগুলো যেগুলো এতবছর ধরে পুতুল নাচন নাচিয়ে চলছিল তোমায়, একদিন তাদের কান ধরে শাসন করে, লাটাইয়ের সুতোর ডগায় বেঁধে হুস করে দিয়েছো আকাশে ভাসিয়ে।

সত্যি বলছি। একটা শ্বাস যদি বুকভরে নিতে পারো, এ সবই পারবে তুমি। একবার বিশ্বাস করে বুক চিতিয়ে চোখটা বন্ধ করে দেখোই না।

দুঃখ, দুঃসময়, প্রবঞ্চনা, একাকিত্ব, অপ্রেম, অনিশ্চয়তা এতো কিছু পেরিয়ে চলেছো তুমি, এখনো তো দিব্য বেঁচে আছো, নিজেও কি ভেবেছিলে পার হতে পারবে নড়বড়ে সাঁকোটা?

কিন্তু পেরিয়ে তো এলে? বা পার হবার বার জন্য সাহস করে প্রথম পা টা তো ফেলেছো দেখতে পাচ্ছি। তবে অর্ধেক যুদ্ধ তো জিতেই গেলে প্রায়। কি বললে, যন্ত্রনায় ছিঁড়ে পড়ছে মন? শরীর আর চলছে না? ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে জীবন? জানি তো।  হচ্ছে তো।  তোমার-আমার-ওর-সক্কলের। যন্ত্রণার প্রকার কেবল তোমার-আমার-ওর-সক্কলের মৌলিক। জীবন মৌলিক তাই যন্ত্রণাও মৌলিক।মৌলিক যোদ্ধার জীবন যাপন।  জীবন। যুদ্ধটা কেবল অমৌলিক। সত্যিটা হলো, প্রতিনয়ত, প্রতি সেকেন্ডে যুদ্ধটা জিতে চলেছি তুমি-আমি-ও-সক্কলেই। প্রতিদিনের ওঠা নামায়। নইলে আজও জানলা দিয়ে সূর্য্যাস্তের লাল আলো চোখে পড়লে একবার চোখ বন্ধ করে সে আলোটা চোখে মেখে নাও কেন তুমি? আজো খানসাহেবের আঙ্গুল সরোদ  ছুঁলে ঈশ্বর এসে স্পর্শ করেন কেন তোমার হৃদয়? আজও কেন নেই রাজ্যের বাসিন্দা কারো যুদ্ধজয়ের গল্প শোনার শেষে তোমার চোখ ভিজে আসে? আজও কেন আরো একবার চেষ্টা করতে ইচ্ছে করে? জিতেছ বলেই তো? ওই যে কবে প্রথম শ্বাসটা নিয়েছিলে চেষ্টা করে দেখবে বলে, সেইদিনেই জিততে শুরু করেছিলে নিজেও বোঝোনি। বুঝিনি- বোঝেনা। তুমি-আমি-ও-সক্কলে।

নতুন বছরে নতুন যুদ্ধের রসদ পেয়েছো তো আগের আগের সমস্ত বছরের যুদ্ধ গুলো থেকে? ব্যুহসজ্জাও সম্পন্ন হয়েছে নিখুঁতভাবে? হয়েছে। তোমার-আমার-ওর সক্কলের অজান্তেই।  এস তবে আরেকবার ব্রহ্মক্ষণে দরজা খুলে দাঁড়াই ভৈরবী আলোয়। নতুন যুদ্ধের আবাহনের অপেক্ষায়। জিতবো বলে। বুক পেতে ক্ষতটা গ্রহণ করবো বলে। সেই ক্ষতপথে ভৈরবী আলোর সবটুকু বুকের ভেতর গ্রহণ করবো বলে। বেঁচে উঠবো বলে। আরও একবার। তুমি- আমি-ও-সক্কলে। একসাথে। ভিন্ন ভিন্ন পথে।

ভাগ্যিস ক্ষতরা থাকে সক্কলের জীবনে, নইলে আলোরা যে বাইরেই মাথা কুটে মরতো (“The wound is the place where the Light enters you.”-Rumi)।

শুভ নববর্ষ

অর্পিতা

Sunday, 18 August 2019

রবিবারের সকালের মত

গত রবিবার বেশ মেঘ ছিল আকাশে। বৃষ্টিও ঝরছিল অঝোরে। আজ আবার এক রবিবার আমি জানলার দিকে পিঠ ফিরিয়ে দেওয়ালে থেকে দিয়ে বসে ল্যাপটপ খুলে টাইপ করছি অনেকদিন বাদে। ইয়ারফোন দিয়ে মাথায় গলে গলে পড়ছে রাগ দূর্গা। বাইরে ঝকঝকে রোদ্দুর। লিখতে ইচ্ছে করছে কিছু। কিন্তু কি লিখব? লেখার গল্প লিখতে ইচ্ছে করে।  কিন্তু সেসব অপ্রাসঙ্গিক আর ব্যক্তিগত। তাতে নতুন কোনো তথ্য নেই, আসলে নতুন কিচ্ছুটি নেই। আদ্যন্ত সাধারণীর রোজনামচা। আসলে কিছু লিখব বলে বাকি সব কিছু সরিয়ে গুছিয়ে বসা অনেকদিন পর। সময়ের দোহাই নয়, প্রশ্নটা ইচ্ছে আর প্রয়োজনের। এতদিন টুকরো টাকরা যা লেখার চেষ্টা করেছি সেসব আদতে লেখা নয়। দুয়েক কলম মনের কথা। ইচ্ছে করে গুছিয়ে সুন্দর কিছু লিখতে। কিন্তু আমি নিয়মানুবর্তী লিখিয়ে নই যে প্রতিদিন খাতা কলম খুলে নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময়ে বসলেই কিছু না কিছু লাইন কলম বা কীবোর্ড বেয়ে বেরিয়ে আসবে। আর অমনি সেই বস্তুটি আগ্রহ নিয়ে অন্য আর একজন পড়বেন। আমি আসলে আর পাঁচজন মধ্যতিরিশের একজন সাধারণ মানুষ। যার বাকি অন্যদের মতন ছোটবেলায় ফিরে যাবার উপায় নেই। তাই সে মনখারাপ হলে ছোটবেলায় আশ্রয় খোঁজে। তার প্রতিদিনের এই অনন্ত চেষ্টা থেকে বেরিয়ে আসতে অচেনা মানুষদের জীবন থেকে গল্প খোঁজার চেষ্টা করে। তাদের লড়াই থেকে লড়াই করার রসদ জোটায়। আর পাঁচজনার মতোই। সকলেই কোনো না কোনো ভাবে এসবের মধ্যে দিয়ে যান আর সেসব দিয়ে কেউ মনে মনে মহাকাব্য লেখেন আর বিষ্মিত হন জীবনের অদ্ভুত সব প্লট বাস্তবে চাক্ষুষ করে। কেউ কেউ রং তুলি দিয়ে সেসব অভিজ্ঞতা ঢেলে দেয় ক্যানভাসে। কেউ সে জীবন জোড়া অভিজ্ঞতা ঢেলে দেন চলচ্চিত্র বানিয়ে। কেউ কেউ আবার যখন গান করেন বা নাচ, মনে হয়, সুর বা ছন্দ নয় তাঁর পুরো জীবনের শেখা বা অনুধাবন করা সমস্তটুকু তিনি ঢেলে দিচ্ছেন সেই সৃষ্টিতে। সেটি তখন আর কেবল সুর বা ছন্দ নয়, কোনো শ্রোতা বা দর্শকের প্রশংসাবাক্যের আশা বা দাবি নেই সেখানে। সেসব দেখলেই বোঝা যায়। জুড়ে নেওয়া যায় সেসব অনুভব নিজের অনুভূতির সাথে। আর লেখকরা সেই দিয়ে অক্ষরের পর অক্ষর সাজিয়ে বিরাট এক ছবি এঁকে চলেন। 

তবে মনে হয় প্রতিটি মানুষেরই জীবনে একটি মুখ্য বাক্যই বলার থাকে। সেটিই তার জীবনের প্রধান মন্ত্র। সেটির চারপাশেই আবর্তিত হয় তাঁর পুরো জীবন। সেই যে একটি সর্বদেশের সার্বজনীন প্রাচীন একটি ধারণা আছে না, যে, আমাদের প্রতিটি জন্মে কিছু না কিছু একটিমাত্র মূল মন্ত্র শেখা এবং জীবনে সেটি প্রয়োগ করার জন্যই আমরা সেই বারের জন্য জন্ম নিই। পুরো জন্মেই সেই বিষয়টির আশেপাশেই তাঁর আবর্তন ঘটে। জীবনের পজেটিভ বা নেগেটিভ অভিজ্ঞতা দিয়ে তাঁর সেই শিক্ষা পূরণ হয়। যাতে তিনি সেটি নিশ্চিত ভাবে জীবনের সাথে মিশিয়ে নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন পরবর্তী লেশনের দিকে। কিন্তু সেই জন্মের জন্য বোধহয় তিনি এই একটিমাত্র বাক্যটি কেন্দ্রে রেখেই নানান সৃষ্টির বৃত্ত এঁকে চলেন। বেশ কিছু সময় পরে তাইই বোধহয় সেই স্রষ্টার সমস্ত সৃষ্টির মধ্যেই একটা মূলগত মিল আমরা প্রত্যক্ষ করি। সিনেমার ক্ষেত্রে এই আরো বেশি স্পষ্ট। কারণ তার চলমানতার কারণেই চলচ্চিত্রের তাৎক্ষণিক প্রভাব আমাদের মধ্যে বেশী। তাই একই পরিবেশক বা পরিচালকের দুই বা ততোধিক সৃষ্টির মধ্যেকার মিল এত চট করে চোখে পড়ে। আমাদের সবার জীবনেরই একই উদ্দেশ্য মনে হয়। কেবলমাত্র একটি বাক্য, একটি মন্ত্র শেখা এবং তাকে প্রয়োগ করা। বাক্যটা, মন্ত্রটা কেবল আলাদা আলাদা। তাই প্রত্যেকের জীবনের গল্প আলাদা, প্লট আলাদা। আমাদের কাজ কেবল বোধহয় হতাশা থেকে, সুখ থেকে, দুঃখ থেকে, প্রতীক্ষা থেকে, আনন্দ থেকে, না পাওয়া থেকে, অনেক পাওয়া থেকে, আলো থেকে, অন্ধকার থেকে, সারা জীবনের সমস্ত কিছু থেকে সেই একটি মাত্র বাক্যটিকে খুঁজেপেতে চিনে নেওয়া। তাকে আত্মীকরণ করা। জীবনে প্রয়োগ করা। তবেই আমাদের সাথে হয়ে চলা সমস্ত ঘটনার কার্যকারণ সম্পর্কে আমাদের সমস্ত অভিযোগ একটা উত্তর পাবে। আমাদের অভিযোগ করার আর কিচ্ছুটি বাকি থাকবে না।

লেখার গল্প লিখতে গিয়ে কতগুলি অগোছালো কথা লিখে ফেললাম। এসব হল, নিজের সাথে গল্প করতে বসা। অগোছালো লেখার এই একটি সুবিধা আছে, কোথাও পৌঁছানোর দায় নেই। শেষ করার তাড়া নেই। ধারাবাহিকতার নিয়মানুবর্তিতা নেই। বিষয়ও নেই, পুরোটাই নিজের সাথে প্রলাপ। তাই তর্কের অবকাশও নেই। কেমন এক দায়হীন আত্মকথন। ভেবে দেখেছি, আমার অলস মনের অলস লেখনীর সৃষ্টি তাই এত অগোছালো। রবিবারের সকালের মত। দায়হীন, তাড়াহীন। এই যে দুপুর একটা বেজে গিয়েছে। খাবার দাবারের জোগাড় নেই। ল্যাবের কিছু দায়-যা শনি-রবি বোঝে না। জীবনধারণের সাপ্তাহিক দায়িত্বপালন। সমস্ত কিছুকে সরিয়ে রেখে, কেবল বাংলা ভাষায় টাইপ করার স্বাধীনতা আর সুযোগ এই মুহূর্তে আছে বলে, একটা অদৃশ্য বুদ্বুদের মধ্যে ঢুকে কতগুলি অকিঞ্চিৎকর শব্দ পরপর বসিয়ে যাবার আর সেই সূত্রে নিজের সাথে দুদন্ড সময় কাটাবার মোহে এই এত শব্দের আয়োজন।