Saturday, 25 February 2017

আজকের ভোর

 সামনের জানলা তার ওপারে রাস্তা। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের পূর্ব সীমানা। রাস্তার ওপারে একটা বাড়ি। বেশ বড় বাড়ি। কিন্তু কখনো এই বাড়ি থেকে কাউকে বেরোতে বা ঢুকতে দেখিনি। আসলে এটা বাড়িটার পিছনের দিক। সামনের দিকে বড় দরজা, বাড়ির সামনে একটা বিশাল গাছ। নাম জানিনা।তাতে একটা দোলনা বাঁধা থাকতে দেখেছিলাম...

Tuesday, 21 February 2017

নৈশঃব্দের শব্দ

নৈশঃব্দের শব্দে হারিয়ে যেতে যেতে, ঘুঘুডাকা মধ্যাহ্নের উষ্ণতায় তপ্ত হতে হতে অনর্গল বৃষ্টিভেজা মধ্যরাতের আধোঘুমে,   এমনকি পড়ন্ত গোধূলির আলোর বিষন্নতায়  পূর্ণ হতে হতে  একটু একটু করে ভাসিয়েছি নিজেকে। যত্ন করে, বহুকাল ধরে।  আজ আর মধ্যাহ্নে ঘুঘু ডাকে না...

Tuesday, 14 February 2017

বাঁচিয়ে রেখো ভালবেসে

দিনান্তে শেষটুকু ক্ষণ বেঁচে থাকুক। ভালবাসতে। ভালবেসে বেঁচে থাকতে। দিনান্তের শেষটুকু ক্ষণ সরিয়ে রেখ। নিজের মধ্যে ডুব দিতে। সেই যে মানুষ। অবুঝ মতন কথায় কথায় চোখ মোছে যে। মায়ের জন্য মনখারাপে। আদর পেলেও চোখ ভরে যায় অনেক বেশি পাওয়া বলে। সেই যে মানুষ। খুঁজছে শুধু রংতুলি আর কাগজ কলম। ছোট্টবেলায়...

Sunday, 12 February 2017

মূল

একটা পিচঢালা রাস্তা, মাঝে মাঝে অবশ্য ওপরের চামড়া উঠে গিয়ে হাড়গোড় বেরিয়ে এসেছে, চকচকে ছবির মতন রাস্তা সে নয় যদিও, তবুও কাকভোরে কুয়াশা মাখা সে রাস্তায় হেঁটে বড়ো আরাম পেয়েছি। হোকনা সে খানিক ভাঙাচোরা, তবুও তার দুইপাশের জমাট বাঁধা কুয়াশা, আদিগন্ত আধসবুজ-আধহলুদ ধানের ভারে নুয়েপড়া ধানক্ষেত, সে আমার নিজের, বড়ো প্রিয়, বড়ো আরামের।  আজও একবুক কষ্ট নিয়ে তার কাছে গেলে সে বুক পেতে দেবে আমার চোখের...