কোনো ভরা শ্রাবণের মধ্য দুপুরে
যখন আকাশ অন্ধকার করে মেঘেরা থম মেরে বসে থাকে
যেন আর কোথাও যাবার নেই ওদের,
কোনো তাড়া নেই, কোনো কাজ বাকি নেই-
যেন কিসের অপেক্ষায় নিচের দিকে মুখ করে তাকিয়ে থাকে ঠায়।
সেসময় মনে কর-
তোমার ডাঁয়ে পাহাড়,
বাঁয়ে পাহাড়-
সামনে দৃষ্টিসীমা অবধি ছোটো-বড়-সবুজ টিলা আর টিলা
ছোটো হতে হতে
ছোটো হতে হতে
ক্রমশ দিগন্তে গিয়ে দম নিয়েছে।
পাথরের চাতালে শুয়ে আছো তুমি
ওই ধোঁয়া রঙের থম মেরে রওয়া মেঘেদের দিকে চোখ মেলে।
শ্রাবণের জলে-হাওয়ায় তরতরিয়ে বেড়ে উঠেছে সবুজেরা।
বাড়তে বাড়তে সে সবুজ কখন যে
তোমার পুরো তুমিটাকেই সবুজে সবুজ করে ফেলেছে
তার ঠিকানা নেই তোমার কাছেও।
ঠিক সে সময় বাতাসও যখন
দস্যি ছেলের দলের মত
এক্পুকুর বৃষ্টিতে নেয়ে উঠে
হল্লা শুরু করে
মুখের ওপর
বুকের ওপর।
সমস্ত দৈন্যতা এলোমেলো করে
বৃষ্টি নামে তখন
তোমার মুখের ওপর
বুকের ওপর
বুকের ভেতর
সারা আকাশ জুড়ে।
...........এখানে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হয়নি ...... হয়না কতদিন........সমস্ত কিছুতে ধুলোর প্রলেপ........কত পরত তা কে জানে।